কলকাতা: পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও উত্তর বঙ্গোপসাগরে অতি গভীর নিম্নচাপটি শনিবার (২৫ মে) রাতের দিকে শক্তি বৃদ্ধি করে পরিণত হতে চলেছে ঘূর্ণিঝড়ে। তখন তার নাম হবে ‘রেমাল’।
রোববার গভীর রাতে উপকূলবর্তী স্থলভাগে ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ থাকবে ১৩৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। গভীর নিম্নচাপে শেষ ছয় ঘণ্টায় তার গতিবেগ রয়েছে ১৭ কিলোমিটার।
শনিবার সন্ধ্যায় আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা হাবিবুর রহমান বিশ্বাস জানিয়েছেন, এর প্রভাবে কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ঝড়বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বর্তমানে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থেকে ৪৬০ কিলোমিটার এবং সাগরদ্বীপ থেকে আর মাত্র ৩৮০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে রেমাল।
শনিবার দিবাগত রাত থেকে কলকাতায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রোববার দিনভর ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া বইবে কলকাতায়। সোমবারও অতি ভারী বৃষ্টির সঙ্গে হালকা ঝোড়ো হাওয়া থাকবে শহরে। মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে।
শনিবার থেকেই উত্তাল হয়েছে রাজ্যের দিঘার সমুদ্র। বড় বড় ঢেউ পাড়ে আছড়ে পড়ছে। আবহাওয়া দপ্তর ইতোমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় রেড অ্যালার্ট জারি করেছে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে কাঁচাবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। উপকূল অঞ্চলে গাছ উপড়ে পড়তে পারে, কাঁচা বাঁধের ক্ষতি হতে পারে। এক মিটার পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হবে সমুদ্রে। নোনা পানি ঢুকে পড়তে পারে সমতলের অনেক এলাকায়।
ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কায় হাওড়া, শিয়ালদহ স্টেশনের রেলগুলো বাতিল করা হয়েছে। রোববার রাত ১১টা থেকে সোমবার ভোর ৬টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ট্রেন চলাচল। বন্ধ হয়েছে নৌচলাচল। উপকূলবর্তী এলাকাগুলোয় পুলিশ সতর্ক থাকার মাইকিং করছে। প্রস্তুত রয়েছে বিপর্য়য় মোকাবিলা বাহিনী। প্রস্তুত করা হয়েছে ত্রাণ সামগ্রী। খোলা হয়েছে ত্রাণ শিবির। ঘূর্ণিঝড় বয়ে যেতে পারে রাজ্যের এমন জেলাগুলোতে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, ২৫ মে ২০২৪
ভিএস/এমজেএফ