ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

সেপটিক ট্যাংকে ‘মিলল’ এমপি আনারের ‘দেহাংশ’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৫ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২৪
সেপটিক ট্যাংকে ‘মিলল’ এমপি আনারের ‘দেহাংশ’

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় খুন হওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের খণ্ডিত ‘দেহাংশ’ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গেছে। নিউ টাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনস আবাসনের যে ফ্ল্যাটে এমপি আনার খুন হয়েছেন, সেই ভবনের সেপটিক ট্যাংকে এই দেহাংশ মিলেছে বলে জানিয়েছেন এক প্রত্যক্ষদর্শী।

তবে পুলিশ বা গোয়েন্দা কর্মকর্তারা কেউ এখনো এ বিষয়ে মুখ খোলেননি।

মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকেলে সঞ্জীবা গার্ডেনসের কর্মী পরিচয় দেওয়া সিদ্ধেশ্বর মন্ডল একদলা মাংস উদ্ধারের তথ্য বাংলানিউজকে জানান।  

ওই সময় আবাসনটিতে স্থানীয় পুলিশ, সফররত বাংলাদেশের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) টিম ও অন্যান্যরা অনুসন্ধান চালাচ্ছিলেন। ভবনের সেপটিক ট্যাংকে খোঁজ করা হচ্ছিল আনারের দেহাংশ।

সেসময় ভবনটি থেকে তড়িঘড়ি করে বেরিয়ে আসা সিদ্ধেশ্বর মন্ডলের কাছে পরিস্থিতি জানতে চায় বাংলানিউজ। তিনি বলেন, ‘ট্যাংক থেকে মাংস উদ্ধার হচ্ছে। গন্ধের কারণে শরীর খারাপ লাগে। অসম্ভব বমি পায়। আর থাকতে পারিনি। তাই চলে এসেছি। ফোনে ছবি ওঠাতে চেয়েছিলাম। তুলতে দেয়নি। ’

সিদ্ধেশ্বর মন্ডল বলেন, ‘আমার ভগ্নীপতি ভূষণ শিকারী ট্যাংক পরিষ্কার করার দায়িত্বে ছিল। উদ্ধার হওয়া মাংস ওজনে তিন-চার কেজির মতো হবে। ’

সিদ্ধেশ্বর মণ্ডলতিনি নিজের অনুমানের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘হয়তো তাকে খুনের পর কুচি কুচি করে মাংস কমোডে ফ্ল্যাশ করে থাকতে পারে, সেটা পাইপ হয়ে সেপটিক ট্যাংকে গিয়ে দলা হয়েছিল। ’

এর কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে পলিথিনে দলা দলা মাংস জড়ো করতে দেখা যায় দায়িত্বপ্রাপ্তদের। সেই মুহূর্তের ভিডিওচিত্র বাংলানিউজের হাতে রয়েছে। এরপর সেখান থেকে পুলিশের দুটি গাড়ি বের হতে দেখা যায়। সেসময় পুলিশের কর্মকর্তারা বলেন, এখনই কিছু বলবো না। তবে এটা মানুষের মাংস একপ্রকার নিশ্চিত। ফরেনসিক পরীক্ষার পরই সব বলা যাবে।

একটি সূত্র বলছে, সরকারিভাবে এতে সিলমোহর পরলেই বাংলাদেশ থেকে ডাকা হবে এমপি আনারের পরিবারকে। পরিচয় নিশ্চিতে করা হবে ডিএনএ পরীক্ষা।  

চলতি মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে কলকাতায় এসে নিখোঁজ হন এমপি আনার। এরপর তার হদিস না পেয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় ডায়েরি করা হয়। পরে তদন্তে নেমে স্থানীয় পুলিশ জানতে পারে, আনার নিউ টাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনসের ওই ফ্ল্যাটে খুন হয়েছেন।

এরই মধ্যে এ ঘটনায় কয়েকজন অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন। ঘটনার তদন্তে ভারতের পুলিশের একটি টিম ঢাকায় যায়। এরপর ডিএমপির ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে গোয়েন্দাদের একটি দল কলকাতায় আসে। তারা সংশ্লিষ্ট সব এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি সেখানে গ্রেপ্তার অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বাংলাদেশে গ্রেপ্তারদের কাছে পাওয়া তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে নিচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২৪
ভিএস/এইচএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।