কলকাতা: নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে শেষ হলো বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএস) ২০তম সীমান্ত সম্মেলন।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) কলকাতায় সম্মেলনের শেষ দিনে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তাসহ নানান ইস্যু আলোচনায় উঠে আসে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে আরও ভালো বোঝাপড়া ও সহযোগিতা বাড়াতে এই সম্মেলনে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা ও সীমান্ত অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এবারের সম্মলনে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদল এবং ভারতের পক্ষ থেকে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়।
সম্মেলনে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্বে ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহমেদ, এসজিপি, এসপিপি, পিবিজিএম, এরিয়া কমান্ডার, দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল, যশোর। এবং বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্বে ছিলেন আইপিএস, আইজি আয়ুষ মণি তিওয়ারি, বিএসএফ, (দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্ট)।
এবারের সম্মেলনে গুরুত্ব পায় সীমান্ত ব্যবস্থাপনা। সেখানে উঠে আসে যে, উভয়ই দেশই সীমান্ত ব্যবস্থাপনার ওপর আরও জোর দেবে। উভয় দেশ বুঝতে পেরেছে যে, সীমান্তের নিরাপত্তা জোরদার করা প্রয়োজন। যাতে অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধ করা যায় এবং উভয় দেশবাসী নিরাপদ বোধ করতে পারে।
এছাড়া উভয় পক্ষই স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করতে যৌথ টহল চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়বে এবং অপরাধীদের তৎপরতার ওপর নজর রাখা হবে। এসব একাধিক বিষয়ে ঐকমত্যকে আনুষ্ঠানিক রূপ দিতে উভয় পক্ষই যৌথ আলোচনার রেকর্ড স্বাক্ষর করেছে।
বিজিবি প্রতিনিধিদলের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহমেদ সম্মেলনের আয়োজন এবং আলোচনাকে ফলাফলমুখী করার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন, যা পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে ঐকমত্যের সাথে সফলভাবে সমাপ্ত হয়।
সম্মলনে আয়ুষ মণি বলেছেন, সীমান্তে নিরাপত্তা ও সহযোগিতা বাড়াতে আমাদের দুই দেশকে একসাথে কাজ করতে হবে। আমরা নিশ্চিত যে, এই আলোচনার ফলে সীমান্তে অপরাধ দমন হবে এবং উভয় দেশের নিরাপত্তা জোরদার হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২৪
ভিএস/এমজেএফ