ঢাকা, সোমবার, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০৮ জুলাই ২০২৪, ০০ মহররম ১৪৪৬

ভারত

বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া ১০ কেজি স্বর্ণ পশ্চিমবঙ্গে উদ্ধার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০২৪
বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া ১০ কেজি স্বর্ণ পশ্চিমবঙ্গে উদ্ধার পাচার হওয়া স্বর্ণ ও গ্রেপ্তার ৭ পাচারকারী

কলকাতা: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ১০ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করেছে ভারতে সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এবং কলকাতার রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদপ্তর (ডিআরআই)।  

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার সীমানগরের ১১ নম্বর রাজ্য সড়কে পর পর ৪টি অনুসন্ধান চালিয়ে এসব স্বর্ণ উদ্ধার হয়েছে।

এ সময়কালে ৭ জন চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে

উদ্ধারকৃত স্বর্ণের মধ্যে রয়েছে ১টি স্বর্ণের ইট এবং সাড়ে ৯ কেজি বেশি ওজনের সোনার বিস্কুট। জব্দকৃত স্বর্ণের মূল্য পৌনে সাত কোটি রুপির বেশি। একই সঙ্গে জব্দ করা হয়েছে, ১১ লাখ ৫৮ হাজর ৫০০ রুপি নগদ এবং স্বর্ণের ডেলিভারিতে ব্যবহৃত একটি মারুতি ইকো গাড়ি।  

যৌথ বাহিনী বলছে, এসব স্বর্ণ বাংলাদেশ থেকে ভারতে আনা হয়েছিল।

শুক্রবার (৫ জুলাই) এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে বিএসএফ।  

তারা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বিএসএফ-এর ৬৮ ব্যাটালিয়ন এবং ডিআরআই-এর একটি যৌথ দল সীমানগর এলাকায় ১১ নম্বর রাজ্য সড়কে যানবাহনের ব্যাপক তল্লাশি চালায়। ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ, বাহিনীর সদস্যরা একটি সন্দেহজনক মারুতি ইকো গাড়ি থামায়। সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করার পর তল্লাশির সময় ৪ দশমিক ৮ কেজি সোনাসহ দুই পাচারকারীকে আটক করা হয়।

একইভাবে ওই সড়কে সকাল ৭টা নাগাদ একটি বাস থামিয়ে তল্লাশিকালে ১ দশমিক ২ কেজি স্বর্ণসহ একজনকে আটক করা হয়। কিছুক্ষণ পর সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ আরেকটি বাস থামিয়ে তল্লাশিকালে ৩ দশমিক ৬২ কেজি স্বর্ণসহ তিনজনকে আটক করা হয়।

তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অপর একটি অভিযানে ওই জেলার করিমপুরের রামনগর গ্রামে একটি সন্দেহজনক বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ১টি স্বর্ণের বিস্কুট ও সাড়ে ১১ লাখ অবৈধ নগদ সহ একজনকে আটক করা হয়।

গ্রেপ্তার প্রধান পাচারকারীর নাম রফিক মণ্ডল, নদীয়া জেলার টেপুরের বাসিন্দা তিনি। এছাড়া লাল, রবি, প্রদীপ, দাউদ, সীমান্ত ও বিট্টু নামের পাচারকারীরা সবাই নদীয়া (পশ্চিমবঙ্গ) জেলার বাসিন্দা।  

জিজ্ঞাসাবাদে রফিক মণ্ডল জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত এবং এবার তিনি কৃষ্ণনগরে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির কাছে স্বর্ণের চালান পৌঁছে দিতে যাচ্ছিল।

এছাড়া অন্যান্য পাচারকারীরা জানিয়েছে যে, তারা করিমপুরের সীমান্ত এলাকা থেকে সোনা নিয়ে কলকাতার দমদম রেলস্টেশনে এক অজ্ঞাত ব্যক্তিদের হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল। গ্রেপ্তার চোরাকারবারিদের স্বর্ণসহ পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ডিআরআই, কলকাতার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০২৪
ভিএস/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।