ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

অতি বৃষ্টিতে আশঙ্কার প্রহর গুনছে পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২৪
অতি বৃষ্টিতে আশঙ্কার প্রহর গুনছে পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসন

কলকাতা: টানা বৃষ্টি হয়ে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বঙ্গে আগামী বেশ কিছুদিন এমন পরিস্থিতি বজায় থাকবে।

রাজ্যটির উত্তরবঙ্গের অবস্থা আরো খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। উত্তরের জেলাগুলোয় প্লাবন এবং ধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

শনিবার (৩ আগস্ট) আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। অতি বৃষ্টিতে দার্জিলিং, কালিংপং, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি জেলার একাধিক জায়গায় ধস নামতে পারে। পাশাপাশি বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। প্রবল বৃষ্টির কারণে ইতিমধ্যে এইসব জেলায় কমলা সর্তকতা জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া অফিস সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে বলেছে, অতি বৃষ্টিতে পথে দৃশ্যমানতা কমবে এবং নদীর পানির স্তর বাড়তে পারে। ফলে নিচু এলাকায় বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

এই মুহূর্তে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের একটি গভীর নিম্নচাপ অবস্থান করছে। ইতিমধ্যে আরও শক্তি বাড়িয়েছে নিম্নচাপটি বিহার পর্য়ন্ত বিস্তার করছে। যার জেরে উত্তরবঙ্গের মতো দক্ষিণবঙ্গেরও বেশ কিছু জেলার নিচু এলাকা প্লাবিত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। এছাড়া ভারী ও অতি ভারী বৃষ্টিতে কমতে পারে দৃশ্যমানতা। কলকাতা শহর এলাকায় যানজট ও দুর্ঘটনার সম্ভাবনা এড়াতে সকলকে সাবধান হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নদীগুলির পানি বাড়ছে হু হু করে।

এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের জেলাশাসকদের ছুটি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সকলকে সতর্ক থাকতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন নবান্ন। শনিবার দুপুরে জেলা শাসকদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যসচিব।

অতি বৃষ্টির কারণে বাঁধগুলো থেকে পানি ছাড়তে শুরু করেছে প্রশাসন। পশ্চিমবঙ্গের পাশ্বর্তী ঝাড়খণ্ডে প্রবল বৃষ্টির কারণে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (ডিভিসি) পানি ছাড়ার পরিমাণ বাড়িয়েছে। শনিবার সকাল থেকে ৪৮ হাজার কিউসে হারে পানি ছেড়েছে তারা। ডিভিসি আরও ১ লক্ষ কিউসেক ছাড়বে বলে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
 
বিহারের মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে ডিভিসি পানি ছাড়ার পরিমাণ বাড়াচ্ছে, বলে আগাম সতর্ক  করেছেন আলাপন। দুই জলাধার থেকে পানি ছাড়লে তা পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুর ব্যারাজে এসে ঢোকে। ফলে দুর্গাপুর ব্যারাজের জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে।  

যার জেরে বাংলার প্রশাসনও দুর্গাপুর ব্যারেজও পানি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ৬৯ হাজার ৮২৫ কিউসেক হারে পানি ছেড়েছে। এর জেরে দক্ষিণবঙ্গে নীচু এলাকাগুলি ডুবতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তার মধ্যে আগামী ৫ এবং ৬ আগস্ট ভরা কোটাল। ফলে আশঙ্কার প্রহর গুনছে বঙ্গবাসী। সকলকে সতর্ক থাকতে বলছে পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসন।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৯ ঘণ্টা, ০৩ আগস্ট ২০২৪
ভিএস/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।