কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে আরজি কর হাসপাতালে নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় এখন কলকাতাজুড়ে আন্দোলন চলছে। এবার সেইভাবে দুর্গা উৎসবে গা ভাগাতে নারাজ বঙ্গবাসী।
এবার সেই আবহে জ্বলে উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার জয়নগর। আবারও পশ্চিবঙ্গের পুলিশকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন সাধারণ মানুষ। বাড়ি থেকে পাঁচশো মিটার দূরে উদ্ধার হয়েছে এক নাবালিকার ক্ষতবিক্ষত দেহ। ধর্ষণ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। থানার নাকের ডগায় কীভাবে এরকম ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে শনিবার (৫ অক্টোরব) সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষোভের আঁচও বেড়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ জানাতে গেলে, পুলিশ তা গ্রহণ করতে চায়নি। তারপরই লাঠি হাতে রাস্তায় নামতে দেখা যায় স্থানীয়দের। নারী পুরুষ নির্বিশেষে ছুটে যান থানার দিকে। ভাঙচুর করা হয় পুলিশ ফাঁড়ি, আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় থানাতে। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠতেই টিয়ার গ্যাস চার্জ করে পুলিশ। রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে জয়নগর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনি। কিন্তু ততক্ষণের পুলিশ ফাঁড়ি পুড়ে ছাই।
শুক্রবার(৪ অক্টোবর) রাতে জয়নগরের মহিষমারি এলাকায় একটি জলাভূমি থেকে ন’বছরের এক নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জানা যায়, টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়। ঘটনা ঘিরে শনিবার সকাল থেকে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় জয়নগর থানা এলাকার মহিষমারি এলাকা।
এদিন এলাকায় পৌঁছাতেই তৃণমূলের সাংসদকে দেখে গো ব্যাক স্লোগান দেন স্থানীয়রা। বিক্ষোভ দেখায় সাংসদ সদস্য প্রতিমা মন্ডলকে ঘিরে। ঘটসাস্থলে পৌঁছে গেছে বাম, বিজেপি, কংগ্রেসের মত রাজনৈতিক দলগুলো। বিরোধদের দাবি, আরজিকরের মত তথ্য প্রমাণ লোপাট করা চলবে না। দেহ সংরক্ষণ করে নিরপেক্ষ জায়গা থেকে ময়নাতদন্ত করতে হবে। সব মিলিয়ে পূজারমুখে আবার উত্তেজিত হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা, ০৫ অক্টোবর ২০২৪
ভিএস/এমএম