ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২, ০৮ মে ২০২৫, ১০ জিলকদ ১৪৪৬

ভারত

বিভ্রান্তিকর প্রচার হলেই অ্যাকশন নেব: মমতা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২:০১, মে ৮, ২০২৫
বিভ্রান্তিকর প্রচার হলেই অ্যাকশন নেব: মমতা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কলকাতা: ভারতীয় সেনা বাহিনীর ‘অপারেশন সিঁদুর’ আঘাত হেনেছে পাকিস্তানে। মঙ্গলবার (৬ মে) মধ্যরাতের ওই ঘটনার পর পাল্টা জবাবের হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাকিস্তানও।

অপরদিকে ভারতকে পাল্টা জবাব দেওয়ার ক্ষেত্রে পূর্ণ স্বাধীনতা পেয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীও। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার (৭ মে) দুপুরে ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ওই বৈঠকের পর, রাজ্যের সব বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় নবান্নের সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যবাসীকে সতর্ক করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা।

তিনি বলেন, দেশের স্বার্থে সবাইকে এ সময় কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতেই হবে। কোনো বিভ্রান্তিমূলক প্রচার করা যাবে না। সবার ওপরে দেশ। তাই এ সময় কোনো উসকানিমূলক বা বিভ্রান্তিমূলক প্রচার বরদাস্ত করা হবে না, হলে অ্যাকশন নেওয়া হবে।  

নাগরিক হিসেবে সবাইকে দেশের প্রতি দায়িত্বপূর্ণ আচরণের কথাও মনে করিয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করব। এ সময় যেন আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ না থাকে। সবাই আমরা দেশের পক্ষে।

সংবাদ মাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে মমতা বলেন, সংবাদ মাধ্যমের কর্মী হিসেবে আপনাদের দায়বদ্ধতা আছে। এ সময়টা শান্ত এবং সংযত থেকে মানুষকে সঠিক সত্য পরিবেশন করা, যাতে কোনো অশান্তি তৈরি না হয়, কোনো প্ররোচনামূলক পরিস্থিতি তৈরি না হয়, কোনো সহিংসতা না ছড়ায় বা কোনো সন্ত্রাস না ছড়ায়। সেদিকে লক্ষ্য রেখে কাজ করার জন্য অনুরোধ করছি। অন্যথায়, কেন্দ্রীয় সরকারের গাইডলাইন অনুযায়ী, কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কোথাও স্মরণ করিয়ে দেন মমতা। মমতার অভিমত, মনে রাখতে হবে, এটা টিআরপি বাড়ানোর সময় নয়, এটা দেশের রক্ষার সময়।

এ পরিস্থিতিতে রাজ্যের বেসরকারি ও ইংরেজি মাধ্যম স্কুল কর্তৃপক্ষকে ছুটির ঘোষণা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, আমাদের রাজ্যে সরকারি স্কুলগুলোতে গরমের ছুটি শুরু হয়েছে। বেসরকারি ও ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোকে আহ্বান জানাবো তারাও যাতে এ পরিস্থিতিতে ছুটি ঘোষণা করে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, আপনারা জানেন সেই ১৯৭১ সালে শেষ যুদ্ধ হয়েছিল। এরপর কারগিলের যুদ্ধ কাশ্মীরের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল, পরবর্তীতে বালাকোট বা পুলওয়ামাতেও যে ঘটনা ঘটেছিল তার রেশ এদিকে (পশ্চিমবঙ্গে) আসেনি। আজকের যে পরিস্থিতি, যদিও এখানকার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই, তবুও যেহেতু আমাদের সঙ্গে অনেকগুলো দেশের সীমান্ত রয়েছে, পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব ভারতের সীমান্ত রয়েছে তাই সবাইকে একসঙ্গে ভালো করে চলতে হবে, শান্তি রক্ষা করতে হবে।

এদিন নেপাল, বাংলাদেশ, ভুটানের মতো দেশগুলোর সঙ্গে থাকা ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীর, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পাঞ্জাব, রাজস্থান, গুজরাট, উত্তরাখণ্ড, সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলোর মুখ্য সচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি। লাদাখের লেফটেন্যান্ট গভর্নরও উপস্থিত ছিলেন।

ভিএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।