সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজ্যের প্রশাসনিক দফতর ‘নবান্ন’তে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দার্জিলিং সংকট ইস্যুতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে প্রথমে অবশ্য রোহিঙ্গা ইস্যুতে কথা বলতে চাননি মমতা। পরে বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমি কিছু বলবো না। সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। এটা নিয়ে এখন আমার কথা বলা উচিত নয়।
‘কেন্দ্রীয় সরকার আমাকে বলেছে, যেসব রোহিঙ্গারা পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেছে, তাদের পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য। আমি মনে করি, সব সাধারণ মানুষ জঙ্গি নয়। কেউ কেউ জঙ্গি হতে পারে। জঙ্গিদের জঙ্গি হিসেবে দেখা হোক। জঙ্গিদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের একটা পার্থক্য আছে। প্রত্যেক সম্প্রদায়ে কিছু খারাপ মানুষ থাকে, আবার ভালো মানুষও থাকে।
মমতা মনে করেন, সম্প্রদায় হল সম্প্রদায়। সাম্প্রদায়িক বিশ্বাসী ব্যক্তি আর জঙ্গিদের মধ্যে পার্থক্য আছে। জঙ্গি থাকলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক সরকার। কিন্তু, সাধারণ মানুষ যেন সমস্যায় না পড়ে।
মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেন, আমরা মানুষ, আমাদের কাছে মানবিকতার বিষয়টাও আছে। সেটাও ভেবে দেখতে হবে।
এর আগে, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে রোহিঙ্গাদের ভারত থেকে বিতাড়িত করার নির্দেশ দেওয়া হলেও এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় মমতার সরকার। ‘নব্বান্ন’র শীর্ষ পর্যায় থেকে বলা হয়, কেন্দ্র রোহিঙ্গা তাড়াতে বললেও মমতা জানিয়ে দেন, কোনো রোহিঙ্গাকে জোর করে বের করে দেওয়া হবে না। রোহিঙ্গাদের কেউ পশ্চিমবঙ্গে থাকতে চাইলে তাকে মানবিকতার খাতির দেখানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫২ ঘণ্টা, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
ভিএস/এইচএ/