তিনি বলেছেন, উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকায় উত্তেজনার মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এটা বাংলাকে বিভক্ত করার চক্রান্ত।
এ সময় অপরূপ সৌন্দর্যের রানি দার্জিলিংকে বাংলার অবিচ্ছেদ্য অংশ বলেও উল্লেখ করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) নবান্নে আয়োজিত পাহাড়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি। বৈঠকে মোর্চা নেতা বিনয় তামাঙ্গ ছাড়া অখিল ভারতীয় গোর্খা লীগের প্রতিনিধি, মোর্চার তিন বিধায়ক ছাড়াও মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
রাজ্য বিজেপির সভাপতির প্রতি ইঙ্গিত করে বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা দাবি করেন, আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ আছে। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে যথাযথ সময়ে তা জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে।
‘পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে যা যা করা দরকার তা সেখানকার সব দলকে সঙ্গে নিয়েই করা হবে। আমরা পাহাড়ে স্থায়ী সমাধান চাই। আবার যাতে এমন কিছু না হয়, সেজন্য আমরা স্থায়ী সমাধান খুঁজবো। ’
‘কীভাবে আমরা এ সমস্যার সমাধান করবো, তা নিয়ে কোনো ভালো ও কার্যকর প্রস্তাব এলে ভেবে দেখবো। তবে সমাধান আমাদেরই করতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
এদিকে রোববার (১৫ অক্টোবর) রাজ্য সরকারকে না জানিয়েই দার্জিলিং থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় এ সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
তিনি বলেন, ‘আমি বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে লিখেছি। সেখানে আমি বলেছি, পাহাড় স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে-এর মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত পুরোপুরি দুর্ভাগ্যজনক, অনৈতিক, অগণতান্ত্রিক এবং অসাংবিধানিক। ’
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ২০১১ সালে শিলিগুড়ির পিনটেল ভিলেজে গোর্খা নেতা বিমল গুরুঙ্গের নেতৃত্বে রাজ্য সরকারের গোর্খাল্যান্ড আঞ্চলিক প্রশাসন (জিটিএ) চুক্তি সই হয়। আর ফের পাহাড় উত্তপ্তের নেপথ্যেও বিমল গুরুঙ্গ।
তাই এবারও পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে সেই পিনটেল ভিলেজকেই বেছে নিলেন মমতা। আগামী ২১ নভেম্বর পাহাড়ের নেতাদের সঙ্গে চতুর্থ বৈঠক করবেন সেখানে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৭
এমএ