অথবা উদাহরণ স্বরূপ এও বলা যায়, ভারতে আমির খান প্রযোজিত এক অন্য স্বাদের সিনেমা।
এটা ঠিক স্থান, কাল, সময় সবকিছু অতিক্রম করে সীমানা ছাড়িয়ে এক দেশ থেকে অন্য দেশের সীমা রেখায় সহজেই ঢুকে পড়া। সীমারেখা তার ধার ধারে না। তা সম্ভব হয়েছে ইন্টারনেটের যুগে।
এবার এই দুটো বিষয়কে এক সাথে জুড়ে দিলে যা দাঁড়ায়, সেটা হলো রোমান্টি গান কিন্তু সিডি-ডিভিডিতে নয়, একেবারে সরাসরি ইউটিউবে। আর তার ফলও পাচ্ছে সে। তার গানের জনপ্রিয়তা বাড়ছে ধীরে ধীরে তাবৎ বাঙালির কাছে। গায়িকার নাম বুশরা শাহরিয়ার। জন্ম চিটাগাঙে হলেও বর্তমান নিবাস ঢাকায়।
কলকাতায় তার নতুন গানের শ্যুটিং-এ ব্যস্ত এখন বুশরা। দেশের বাইরে প্রথম শুটিং! তাই আবেগ এবং চঞ্চলতা একসাথে কাজ করছে। করাটাই স্বাভাবিক। তার মধ্যে স্পন্সর আবার বাংলাদেশেরে নাম করা এক ব্র্যান্ড। সামান্য সময়ে কথা বলে যা জানা গেলো তা হলো, বাবা ঢাকার ব্যাংকে কর্মরত। চার বছর বয়সে মায়ের হাত ধরে গানের জগতে প্রবেশ। তারপর ওস্তাদ সুব্রত সরকারের কাছে তালিম নেওয়া শুরু। ইতিমধ্যে তার চারটি গান ইউটিউবে প্রকাশ পেয়েছে। তারমধ্যে ‘উৎসবের বাংলাদেশ’ গানটি যথেষ্ট সাফল্যের মুখ দেখেছে। বর্তমানে বুশরা আর্কিটেকচার এন্ড প্ল্যানিং-এ মার্স্টাস করছেন ভারত থেকে। পড়াশুনার মধ্যেই চলে গানের রেওয়াজ।
জানতে চেয়েছিলাম শ্রোতারা কেনো শুনবে বুশরার গান? লাজুক বুশরা হেসে উত্তরে জানাল, কারণ আর পাঁচটা গানের থেকে একটু আলাদা আমার গানগুলো। মূলত আমি আধুনিক গান গাই। এবং গানের কথা ও সুর আমার নিজের তৈরি। এছাড়া আমার গানে অন্য একটা বিষয় থাকে। প্রতিটা গানের বিষয় হয় আলাদা। গানগুলোয় একটা গল্প থাকে। একটা চিত্র ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করি গানের মধ্যে, যাতে একঘেয়ে না লাগে।
এবারে যে সাতটা গান ভারতে শ্যুট হচ্ছে, সেগুলোর মধ্যে দুটো গান পশ্চিমবাংলার জনপ্রিয় প্রযোজক ‘ভেঙ্কটেশ প্রোকাডশন’র সাথে, যা ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। আর বাকি পাঁচটা গান ‘প্রাণের’ সাথে হবে। এবারে মূলত সাতটা গানই থাকছে রোমান্টিক সঙ। বিশে অক্টোবর আবার শুটিং শুরু হবে মন্দারমনির সমুদ্র পাড়ে। তারপর সেখান থেকে রাজস্থান হয়ে কেরালা। বাকি দুটো শ্যুট কোথায় হবে তার লোকেশন এখনো ঠিক করা হয়নি। ভারতকে বেছে নেবার কারণ বিভিন্ন বৈচিত্র্য, বিভিন্ন প্রদেশ। এবং আমার দেশ থেকে সহজে ভারতে যাতায়াত করা যায়।
সামান্য সময়ে কথা বলার পর একটা গান শোনার ইচ্ছে ছিলো বুশরার কণ্ঠে। বিনা বাদ্যযন্দ্রে চার লাইন নজরুল সঙ্গীত শোনালো বুশরা। “তোমারি আঁখির মত আকাশের দুটি তারা চেয়ে থাকে মোর প্রাণে নিশীথে তন্দ্রাহারা/ সে কি তুমি/ সে কি তুমি?”
আগামী দিনে স্টার হয়ে ওঠার সম্ভাব্য প্রতিভা আছে তার মধ্যে। এবার শুধু আরো ঘষা-মাজার পালা। বাংলানিউজের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা বুশরার জন্য। ‘বুশরা শাহরিয়ার’ আরও বড় হয়ে উঠুক।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৭
ভিএস/জেডএম