তিনি বলেন, একটি প্লেনে আগুন লাগলে শুধু ইকোনমি ক্লাসের মানুষ সমস্যায় পড়বেন না। একটু স্বস্তির সময় পেলেও বিজনেস ক্লাসের মানুষেরাও সমস্যায় পড়বেন।
‘ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতির আয়োজনে রোববার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে কলকাতা প্রেসক্লাবে ‘রোহিঙ্গা সংকট: দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক নিরাপত্তা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
উপ হাইকমিশনার বলেন, ‘রোহিঙ্গা মানে সন্ত্রাসবাদ নয়। রোহিঙ্গা ও সন্ত্রাস সমস্যা শুধুমাত্র বাংলাদেশের নয়। এ সমস্যা সমাধানে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রগুলোকে এগিয়ে আসা উচিত। অন্যথায় সারাবিশ্বে এর প্রভাব পড়বে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বার বার বলে আসছেন সন্ত্রাসের বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’। উন্নত রাষ্ট্রগুলোর উচিত সন্ত্রাস দমনে এগিয়ে আসা। ’
এসময় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা শাহরিয়ার কবির বলেন, রোহিঙ্গা আজ আর একটি ভুখণ্ডের রাজনৈতিক সমস্যা নয়, এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংকটে রূপান্তরিত হয়েছে।
এ বিষয়ে গোটা দক্ষিণ এশিয়াকে হাতে হাত রেখে কাজ করতে হবে। অন্যথায় এ সমস্যা সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়বে। বাংলাদেশ-ভারত হাতে হাত রেখে এ সমস্যার মোকাবিলা করা উচিত।
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সব থেকে বড় গোষ্ঠী। তবুও ১৯৮২ সাল থেকে তাদের নাগরিকত্ব দিতে অস্বীকার করছে দেশটির সরকার। অবিলম্বে তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিয়ে নাগরিকত্ব দেওয়া উচিত বলেও মনে করেন শাহরিয়ার কবির।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন এশিয়ার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিশেজ্ঞ অধ্যাপক জয়ন্ত রায় ও প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০৫০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৭
ভিএস/ওএইচ/