মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রী শাজাহান মোল্লা জানান, স্টেশনে ট্রেন ছাড়ার দুই ঘণ্টা আগে পৌঁছেছেন। ননস্টপ সেবা চালু হওয়ায় তিনি খুশি।
আর এক যাত্রী ফাতেমা বিবি বলেন, এই ট্রেন চালু হয়ে আমাদের জন্য খুবই ভালো হয়েছে। হাঁটুর ব্যথা নিয়ে এর আগেও ভারতে চিকিৎসা করাতে এসেছি। মালপত্র নিয়ে বারবার ওঠানামা খুবই কষ্টের ছিলো।
সবকিছু ঠিক থাকলেও বাদ সাধে সময়। ভারতীয় সময় ৭টা ১০ মিনিটে মৈত্রী ছাড়ার কথা থাকলেও ছাড়ে ৮টা ২ মিনিটে। নতুন পরিকাঠামোর সঙ্গে তাল মেলাতে একটু যেনো অসুবিধা হয় প্রথম প্রথম।
ট্রেনটি চালু উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। যাত্রীদের বিদায় জানাতে তাদের আত্মীয়-স্বজনেরা স্টেশনে গিয়েছেন। কিন্তু নতুন নিয়মের কবলে পড়ে দূর থেকেই বিদায় নিতে হচ্ছে তাদের।
মৈত্রী ট্রেনের টিকিট পরীক্ষক প্রশান্ত কুমার তরফদার বলেন, যাত্রীদের জন্য খুবই সুবিধা হয়েছে। আগে দুই জায়গায় ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস চেকিং করে ঢাকায় পৌঁছাতে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা লাগতো। আশা করা যায় এখন ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টা সময় কম লাগবে।
ট্রেন দেরিতে ছাড়ার প্রশ্নে তিনি বলেন, ৪৩৬ জন যাত্রী যাচ্ছেন। প্রথম দিন সময় লেগেছে। তবে এটা আর হবে না। বিকেলে একটা ট্রেন ঢাকা থেকে কলকাতা আসছে। বিকেলে এলেই বুঝবেন আর এতো সমস্যা হবে না।
স্টেশনে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও কাস্টমস কর্মকর্তারা খুবই মনোযোগ দিয়ে টিকিট ও পাসপোর্ট চেকিং করছেন। সেখানেও বেশ সময় লাগছে।
কলকাতা কাস্টমসের সহকারী কমিশনার হিমাংশু শীল বলেন, আজ প্রথম দিন। প্রথমদিনে একটু বেশি সময় লেগেছে। ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে। যাত্রীদের কাছ থেকে মতামত নিয়েছি। তারা এই সেবা পেয়ে খুশি।
মৈত্রী প্রথম চালু হয় ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল। নতুন পরিকাঠামোর সঙ্গে মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগলেও যাত্রীরা ননস্টপ মৈত্রী পেয়ে দারুণ খুশি।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৩ ঘণ্টা, ১০ নভেম্বর, ২০১৭
ভিএস/আরআর