চলতি বছরের ডিসেম্বরেই দক্ষিণ ২৪পরগনার শহরতলির সীমানা ছাড়িয়ে রপ্তানির জন্য বাংলাদেশে পাড়ি দেবে এই মোয়া। বিশেষভাবে তৈরি প্রতিটি প্যাকেটে ১০টি করে মোয়া থাকবে।
তবে কত পরিমাণ রপ্তানি হবে সে বিষয়ে মুখ খোলেননি জয়নগর মোয়া প্রস্তুতকারী সোসাইটির সম্পাদক অশোক কয়াল। প্রথম পর্যায়ে বাংলাদেশ দিয়ে এর যাত্রা শুরু হচ্ছে। পরবর্তীতে ব্রিটেন ও অন্য দেশগুলিতে পাঠানো হবে।
সম্পাদক অশোক কয়াল বাংলানিউজকে বলেন, এখনই বিশদ কিছু বলছি না। কারণ গোটা নভেম্বরে জয়নগরে খেজুর গাছ কেটে হাঁড়ি বসানো হলেও গুড় তৈরির মতো রস এখনও পাওয়া যায়নি। কারণ সেই ঠাণ্ডা এখনও পড়েনি। ফলে গুড় তৈরি হচ্ছে না। এছাড়া কনকচূড় ধানের ফলন ভালো হলেও তা পেতে নভেম্বর শেষ হয়ে যাবে। ফলে জিআই লোগো দেওয়া প্যাকেটবন্দি নরম খাঁটি জয়নগরের মোয়া পেতে একটু সময় লেগে যাবে ভোজনবিলাসীদের।
পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪পরগনা জেলার জয়নগরের মজিলপুর অঞ্চলের বহড়ু গ্রামের জনৈক যামিনীবুড়ো এই মোয়া প্রথম প্রস্তুত করেন। বহড়ু গ্রামের মানুষ এই মোয়া বানিয়ে জয়নগরের বাজারে বিক্রি করতে আসতো। পূর্ণচন্দ্র ঘোষ ও নিত্যগোপাল সরকারকে জয়নগরের মোয়ার বাণিজ্যিক বিপণনের পথিকৃৎ বলে ধরা হয়। পরবর্তীতে কলকাতাসহ গোটা ভারতে এটির জনপ্রিয়তা বাড়ে। এই মোয়া শিল্পে যুক্ত জয়নগরে প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষ।
কীভাবে তৈরি হয় এই মোয়া? সুগন্ধি কনকচূড় ধানের খই, খেজুর গুড়, খাঁটি ঘি, বাদাম, কিসমিস ও গরুর ঘন দুধের মিশ্রণে তৈরি হয় অতি জনপ্রিয় এ খাবারটি। তবে খেজুর গুড়ই মূল উপাদান। বলা হয় স্বাদের দিক দিয়ে জয়নগরের মজিলপুর অঞ্চলের খেজুর রস অনেকটা যশোরের মতো।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৭
ভিএস/এএ