ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

কলকাতায় বাংলাদেশ দূতাবাসে ৭ই মার্চ উদযাপন 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৫ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০১৮
কলকাতায় বাংলাদেশ দূতাবাসে ৭ই মার্চ উদযাপন  কলকাতায় বাংলাদেশ দূতাবাসে সভা/ ছবি: বাংলানিউজ

কলকাতা:  জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের গুরুত্ব নিয়ে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (৭ মার্চ) কলকাতা বাংলাদেশ দূতাবাস এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন উপ-হাইকমিশনের হেড অব চ্যান্সারি ও ভারপ্রাপ্ত উপহাইকমিশনার মিয়া মো. মাইনুল কবির।

আলোচনার শুরুতে উপ-হাইকমিশনের প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম রাষ্ট্রপতির বাণী এবং দ্বিতীয় সচিব (রাজনৈতিক) মিজ মৌসুমী ওয়াইজ প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান। পরে সেখানে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।  

সভায় সচিব (প্রেস) মো. মোফাকখারুল ইকবাল ৭ই মার্চের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, কীভাবে একটি রাজনৈতিক ভাষণ একটি জাতির মুক্তির দিশা দিতে পারে পাশাপাশি সাংস্কৃতিক চেতনাকে সমৃদ্ধ করে নতুন পথের সন্ধান দিতে পারে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ তার জলন্ত প্রমাণ। এ ভাষণটি আমাদের শিক্ষা, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও কৃষ্টির উত্তরাধিকারে পরিণত করার ফলে আমরা এতোটাই আস্থাশীল যে, কোনো অপশক্তিই আমাদের কখনো দাবায়ে রাখতে পারবে না। এ ভাষণ আমাদের মুক্তির মন্ত্র, সংগ্রামের চেতনা, আত্মত্যাগের প্রেরণা।  

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি বিশ্ব নেতৃবৃন্দের ভাষণ পর্যবেক্ষণ করে ইউনেস্কো তাদের ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ কর্মসূচির আওতায় ২০১৭ সালের ২৪ থেকে ২৭ অক্টোবর প্যারিসে দ্বি বার্ষিক বৈঠকে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণকে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ অন্তর্ভূক্ত করার জন্য সুপারিশ করে।  

ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা এ সুপারিশ সম্মতি দিয়ে ১৫ সদস্যের নির্বাহী পরিষদে পাঠিয়ে দেওয়ার দুইদিন পরই ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবরে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে ৪২৭ তম প্রামাণ্য দলিল হিসেবে ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ রেজিস্টারে অন্তর্ভূক্ত করা হয়।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে মিয়া মো. মাইনুল কবির বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চে যে ভাষণ দিয়েছিলেন তা তিনি অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রেক্ষাপটকে বিবেচনা করে একটি জাতির মুক্তির পথ দেখিয়েছিলেন।  

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ধাপে ধাপে রাজনৈতিক আন্দোলনে যুক্ত থেকে যে প্রজ্ঞা অর্জন করেছিলেন। তাই মহাজগরণের ডাক যখন ৭ই মার্চের ভাষণে দিয়েছিলেন তা রেসকোর্স ময়দানের দশ লাখ জনতা সমাবেশ হয়েছিল।  

অনুষ্ঠানের মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ের আকাশবাণীর  প্রখ্যাত সাংবাদিক উপেন তরফদার প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ০৭০৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৮
ভিএস/জেআইএম/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।