ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

সীমান্তে ‘নন-লিথাল’ অস্ত্রের ব্যবহারও কমেছে: বিএসএফ

আসিফ আজিজ, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৮
সীমান্তে ‘নন-লিথাল’ অস্ত্রের ব্যবহারও কমেছে: বিএসএফ বিএসএফ দক্ষিণ বাংলা ফ্রন্টিয়ার হেডকোয়ার্টারে বর্ডার ডেলিগেটস টিমের মিডিয়া রিসিপশন। ছবি: বাংলানিউজ

কলকাতা: বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ৯১৩ কিলোমিটার সীমান্তে নন-লিথাল বা মারণঘাতী নয় এমন অস্ত্রের ব্যবহারও কমেছে বলে দাবি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ)।

বুধবার (২৮ মার্চ) বিকেলে বিএসএফ দক্ষিণ বাংলা ফ্রন্টিয়ার হেডকোয়ার্টারে বর্ডার ডেলিগেটস টিমের মিডিয়া রিসিপশনে কমান্ড্যান্ট অপারেশনস রগনেশ কুমার এ তথ্য দেন।

পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সীমান্তে বিএসএফ এর কার্যক্রম, বাধা, সাফল্য প্রভৃতি উপস্থাপনের সময় তিনি তথ্য দেন, নন-লিথাল পাম্প অ্যাকশন গান ২০১৬ সালে যেখানে ৭৫৩ বার ব্যবহার হয়েছে, সেখানে ২০১৮ সালে নেমে দাঁড়িয়েছে ৪১-এ।

আর মারণঘাতী অস্ত্র ২০১৬ সালে ৯৬ বার ব্যবহার হলেও ২০১৮ সালে হয়েছে মাত্র একটি।

এছাড়া সীমান্তে বিএসএফ এর চ্যালেঞ্জ, সাফল্য ও বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হয়। চোরালান, চোরাচালানির সময় মৃত্যুসহ ৯১৩ কিলোমিটার সীমান্তের নানামুখী পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয় প্রেজেন্টেশনে।

ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোর পর ভারপ্রাপ্ত আইজি আজমল সিং কাটাথ ডেলিগেটসদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটা বাংলাদেশি ডেলিগেটসদের বর্ডারে তৃতীয় সফর। আমি মনে করি এ সফর বর্ডারের প্রকৃত চিত্র সম্পর্কে দুই দেশের মানুষকে সম্যক ধারণা দিতে সহায়তা করবে।

তিনি বলেন, সীমান্তের যে কোনো বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে আমাদের বোঝাপড়া চমৎকার। কোনো সমস্যা হলে বৈঠকের মাধ্যমে আমরা ওইদিনই তা সমাধানের চেষ্টা করি। সেটা হোক কোনো ছোট কিংবা বড় গুরুত্বপূর্ণ কোনো ইস্যু।  ডিজি বিজিবি ও ডিজি বিএসএফ পর্যায়ের বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয় প্রতিবছর। সীমান্ত সমস্যা সমাধানে আমরা সবসময় আন্তরিক।

'আশাকরি এ সফর সীমান্তে বিএসএফ এর ভূমিকা, কাজ আরও স্পষ্ট করবে। সীমান্তের সুরক্ষায় দায়িত্ব পালনের সময় আমরা যে কঠিন অবস্থা মোকাবেলা করি তা জানবে। '

পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।

সম্প্রতি যশোরে ৮ কিলোমিটারের কিছু বেশি সীমান্ত অপরাধমুক্ত অঞ্চল ঘোষণা করেছে দুই দেশ। এ নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা আমাদের একটি পাইলট প্রকল্প। ওখানে অপরাধ একবারেই হচ্ছে না এটা বলা যাবে না। তবে এর সফলতার উপর পরবর্তী পদক্ষেপের চিন্তা রয়েছে।

প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে ডেলিগেটস টিমের প্রত্যেককে বিএসএফ এর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন আজমল সিং।

এর আগে সকাল সাড়ে স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় নেতাজী সুভাষ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে বাংলাদেশের বর্ডার ডেলিগেটস টিমকে স্বাগত জানান ছেত্র পাল।  পরে ফুল দিয়ে বরণ করা হয় অতিথিদের।

বুধবার (২৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনের থার্ড সেক্রেটারি (প্রেস, ইনফরমেশন অ্যান্ড কালচার) বিশাল জ্যোতি দাসের নেতৃত্বে দলটি কলকাতার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ে।

দলে রয়েছেন দেশের বিভিন্ন দৈনিক, অনলাইন ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত ২৫ জন সংবাদকর্মী।

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা দুই দেশের সীমান্তের নানান সমস্যা আলোকপাত ছাড়াও সীমান্ত সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেবেন সফররতদের। বাস্তব অভিজ্ঞতার জন্য বিএসএফ এর তত্ত্বাবধানে ভারতের পূর্বে বাংলাদেশের সাতক্ষীরালাগোয়া সুন্দরবন, হাসনাবাদ, টাকি, ঘোজাডাঙ্গা প্রভৃতি সীমান্তে সরেজমিনে পরিদর্শন করবে দলটি।

এছাড়া কলকাতার কয়েকটি দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণ করবেন সংবাদকর্মীরা।

এটি দুই দেশের মধ্যে একটি নিয়মিত সফর, যেটা ২০১৫ সালে শুরু হয়। প্রতিবছর বাংলাদেশের একদল সংবাদকর্মী ভারত সরকারের আমন্ত্রণে দুই দেশের সীমান্ত এলাকায় সফর করেন। একইভাবে ঢাকার আমন্ত্রণে ভারতের একদল সংবাদকর্মীও বাংলাদেশ সফর করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩২২ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৮
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।