ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

মালদহ আম ভাঙতে চলেছে ১৫ বছরের রেকর্ড 

ভাস্কর সরদার, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০১৮
মালদহ আম ভাঙতে চলেছে ১৫ বছরের রেকর্ড  মালদহ আম ভাঙতে চলেছে ১৫ বছরের রেকর্ড 

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলা এবার রেকর্ড করতে চলেছে আমের ফলনে। এবার ফলন চার লাখ মেট্রিকটন ছাড়িয়ে যাবে ধারণা করছে রাজ্যের সংশ্লিষ্ট দপ্তর। যেটা ভাঙতে চলেছে গত ১৫ বছরের রেকর্ড।

জেলায় আরও একবার অতিমাত্রায় ফলন হয়েছিল বলে রাজ্য উদ্যান পালন দপ্তর সূত্রে জানা যায়। এবারের ফলন গত ১৫ বছরের মধ্যে রেকর্ড হিসেবে ধরে নেওয়া হচ্ছে।

রেকর্ড ফলনের জন্য মালদহ তথা পশ্চিমবাংলার বাসিন্দাদের হাতে সস্তায় আম পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পশ্চিমবঙ্গের জেলা উদ্যান পালন দপ্তর সূত্র জানায়, এবার আমের ফলনের প্রাথমিক পরিসংখ্যান খুবই আকর্ষণীয়। তারা জনান, বাগানগুলো ঘুরে যা হিসাব মিলছে, তাতে এবছর ৪ লাখ মেট্রিকটন ফলন হবে। যা বিগত ১৫ বছর আগের রেকর্ড ছুঁতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা এখনও অব্দি সপ্তাহে অন্তত একবার বৃষ্টির পানি পাওয়া যাচ্ছে এ জেলায়। এতে আমের বোঁটা আরও মজবুত হয়েছে। ফলে অকালে আম ঝরে যাওয়ার সম্ভাবনাও অনেকখানি কমেছে।  

তবে এই সময়ে এক ধরনের পোকার সংক্রমণ হয়, যা নিয়ে চাষিদের সতর্ক করা হয়েছে। ওই পোকা আমের রসের ঠিক উপরের ত্বকের নিচ থেকে খেতে শুরু করে। তাতে আমের গায়ে দাগ তৈরি হয়। এতে আমের বাজার দর কমে যায়।  

প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে আমের ফলন এক বছর ভালো তো পরেরবার অতোটা ভালো হয় না। এই সমস্যার সমাধানে ‘প্যাক্টোবুট্রাজল’ নামক এক ধরনের রাসায়নিক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। গত কয়েক বছরে মালদহে অন ইয়ার বা অধিক ফলনবর্ষ এবং অফ ইয়ার বা কম ফলনবর্ষ এই চিরাচরিত হিসাব মিটে গেছে।  

মালদহ আম ভাঙতে চলেছে ১৫ বছরের রেকর্ড 

২০১৬ সালে অফ ইয়ার বা কম ফলনবর্ষে বিপুল ফলনের পর থেকে মালদহে প্রযুক্তিনির্ভর আম উৎপাদনে চাষিদের আগ্রহ বেড়েছে। ২০১৭ সালেও আমের অকাল মুকুল আসে এবং বিপুল ফলন হয়। কিন্তু এবার প্রথমদিকে মরশুম শুরু হয়ে গেলেও আমের মুকুল না আসায় উৎপাদক মহলের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল।  

সেই পর্ব কাটিয়ে চাষিদের হাসি ক্রমেই চওড়া হতে শুরু করেছে। তাই চাষিদের পাশাপাশি খুশির আবহ থাকছে পশ্চিমবাংলার আম-আদমির জন্যও। উৎপাদন বাড়লে আম প্রায় পানির দরে মিলতে পারে বলেই ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে। সেইসঙ্গে এবার আগে থেকেই ইউরোপীয় দেশে আম রপ্তানির প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৮
ভিএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।