ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

পশ্চিমবঙ্গের দুই প্রধান বিরোধী নামছেন রাস্তায়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৮
পশ্চিমবঙ্গের দুই প্রধান বিরোধী নামছেন রাস্তায় পশ্চিমবঙ্গের দুই প্রধান বিরোধী রাস্তায় নামছেন (প্রতীকী ছবি)

কলকাতা: কলকাতার পার্কস্ট্রিট লাগোয়া ধর্মতলার মেয়ো রোড অঞ্চলে শনিবার (১১ আগস্ট) বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের জনসভা শুরু হতে চলেছে। এদিকে শনিবারই (১১ আগস্ট) আসামের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) ইস্যুতে রাজ্যজুড়ে কালো পতাকা হাতে প্রতিবাদ দিবস পালন করবে তৃণমূল কংগ্রেস। 

বিজেপির অভিযোগ, অমিত শাহের সভার জমায়েত কম করতেই জেনেবুঝে রাস্তায় নেমেছে রাজ্যের শাসকদল। অন্যদিকে, তৃণমূলের দাবি, এনআরসি চালু করে আসামের বাঙালিদের ভিটেহারা করার যে চক্রান্ত শুরু করেছে গেরুয়া পার্টি, তার জন্যই এই ‘মানবিক’ প্রতীকী প্রতিবাদ।

বলা যেতেই পারে শনিবার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য রাজনীতিতে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দু’পক্ষের সাধারণ কর্মীরা কিন্তু বেশ তেতেই উঠবে।  

এর আগে শুক্রবার (১০ আগস্ট) মেয়ো রোডসহ গোটা ধর্মতলা তৃণমূলের দলীয় পতাকা এবং নেত্রীর পোস্টারে কার্যত মুড়ে দেওয়া হয়েছে। পাল্টা বিজেপি কর্মীরাও অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদির পেস্টার দিয়ে নিজেদের উপস্থিতি জাহির করেছে। ফলে পদ্মফুল এবং জোড়াফুলের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক লড়াইটাও জমে উঠেছে কলকাতায়।

তৃণমূলের প্রতিবাদ দিবস বিষয়ে মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, শনিবার ও রোববার রাজ্যজুড়ে এনআরসি নিয়ে প্রতিবাদ দিবস পালন করা হবে। শনিবার কলকাতায় বিজেপির সভা রয়েছে, তাই এখানে কিছু করা হবে না। তবে জেলায় জেলায় দলের এমপি থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, প্রত্যেকে কালো ব্যাজ পরে, কালো পতাকা হাতে প্রতিবাদ দিবস পালন করবে। এনআরসি’র নামে বিজেপি যে বিভাজনের রাজনীতি শুরু করেছে, বাংলার মানুষ তা মেনে নেবে না।  

এর পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, রাজ্যের শাসকদল পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে শনিবার রাস্তায় নেমেছে অমিত শাহের সভায় লোক আসা আটকাতে। এর তীব্র নিন্দা করছি। তবে শত বাধা সত্ত্বেও বিজেপি কর্মীরা কলকাতাকে স্তব্ধ করে দেবে। এক্ষেত্রে রাজ্যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার দায় শাসকদল এবং প্রশাসনকে নিতে হবে।

নিরাপত্তা প্রসঙ্গে কলকাতার পুলিশের প্রধান কার‌্যালয় লালবাজারের পক্ষ থেকে এক শীর্ষকর্তা বলেন, শনিবার অমিত শাহের জনসভায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে। পশ্চিমবঙ্গের দুই প্রধান বিরোধী রাস্তায় নামছে। সামান্য যানজট হতে পারে। তবে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা হতে দেব না।

২১ জুলাই কলকাতার ঠিক এই অঞ্চল থেকেই মমতা বন্দোপাধ্যায় ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনের বিজেপিবিরোধী শক্তিদের এক হওয়ার আহ্বান করেছিলেন। এখন দেখার বিষয় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এই জনসভা থেকে কর্মী-সমর্থকদের কি নির্দেশ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, ১১ আগস্ট, ২০১৮
ভিএস/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।