ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

বেলুড় মঠসহ মল্লিকবাড়িতেও কুমারী পূজা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৮
বেলুড় মঠসহ মল্লিকবাড়িতেও কুমারী পূজা কুমারী পূজা। ছবি: বাংলানিউজ

কলকাতা: দুর্গাপূজার অন্যতম অঙ্গ কুমারী পূজা। মহাষ্টমীতে বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী পূজা মণ্ডপে এবং সাবেকি বাড়িরগুলিতে কুমারী পূজার প্রচলন আছে। অনেক জায়গাতে নবমী তিথিতেও কুমারী পূজা হয়ে থাকে।

হিন্দুশাস্ত্র মতে, কোলাসুর নামে এক অসুর স্বর্গ ও পৃথিবী অধিকার করে নিলে অন্যান্য দেবতারা মা কালীর শরণাপন্ন হন, মাকালী কুমারী রূপে কলাসুরকে বধ করেন এবং স্বর্গ ও পৃথিবী উদ্ধার করেন। সেই প্রথা মেনে দুর্গাপূজার অষ্টমদিনে কুমারী পূজা হয়ে থাকে।

কিন্তু এ পূজোর প্রচলন বাড়ে স্বামী বিবেকানন্দ সময় থেকে।
 
কুমারী পূজো নিয়ে স্বামী বিবেকানন্দর চিন্তাধারা ছিলো ভিন্ন। পুরুষ শাসিত সমাজে নারী শক্তির উত্থানই ছিল তার মূল ভাবনা। এ উদ্দেশেই ১৯০১ সাল থেকে, স্বামীজি বেলুড় মঠে দেবী দুর্গার বন্দনার সঙ্গে কুমারী পূজোর প্রচলন করেন। সেই প্রথা মেনে মহাষ্টমীর সকালে ধুমধাম করে বেলুড় মঠে চলে কুমারী পূজো।  

এবারে মহাষ্টমী তিথিতে বেলুড় মঠে কুমারী পুজো করা হয় হাওড়া জেলার পঞ্চাননতলা বাসিন্দা পাঁচ বছরের ঐশিনী চট্টোপাধ্যায়কে। উমা রূপে পূজো করেন মঠের মহারাজ ও পুরোহিতরা। তাকে লাল বেনারসি পরানো হয়। ফুলের সাজে সাজানো হয়। এরপর দুর্গা প্রতিমার সামনে সিংহাসনে বসিয়ে শুরু হয় পূজো-অর্চনা ও আরতি। বেলুড় মঠে কুমারী পূজা দেখতে ভিড় জমান দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ।
 
বেলুড় মঠ ছাড়াও, সাবেকি বাড়িগুলিতে কুমারী পূজো উপলক্ষে ধুমধাম আয়োজন করা হয়। অয়োজন ছিলো মল্লিক বাড়িতেও। বুধবার (১৭ অক্টোবর) মহাষ্টমীর উপাচার দিয়ে শুরু হয় পূজো। কুমারীকে নিজে হাতে সাজিয়ে দেন রঞ্জিত মল্লিকের স্ত্রী দীপা। সঙ্গে ছিলেন মল্লিকবাড়ির আদুরিনী কোয়েল। ভবানীপুরে মল্লিকবাড়িতে কুমারী পূজা দেখতে বহু মানুষের সমাগম হয়ে থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৮
ভিএস/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।