কিছুটা হোঁচট খেলেও সামিনা চৌধুরী, ভালো লাগে ফুল, ভালো লাগে কিছুকিছু ভুল, এন্ড্রু কিশোরের হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস, দম ফুরালেই ঠুস বা পড়েনা চোখের পলক। অনেক গানই ঠোঁটস্থ কলকাতার শ্রোতাদের।
এছড়াও শ্রোতাদের মন মাতালো বিক্রম ঘোষের তবলার ফিউশন এবং বিখ্যাত শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী অজয় চক্রবর্তী কণ্ঠ।
এভাবেই রোববার (৬ ডিসেম্বর) রাতে শেষ হলো কলকাতায় বাংলা উৎসব। যা শুরু হয়েছিল শুক্রবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় দক্ষিণ কলকাতার নজরুল মঞ্চে।
এর মূল উদ্দেশ্য, বাঙালি সংস্কৃতি ও জীবন ধারার নানাদিক উপস্থাপন এবং বিশ্বব্যাপী বাঙালিকে এক ছাতার তলায় আনা।
কলকাতায় প্রথমবাবের মতো শুরু হলেও অনুষ্ঠানের কর্মসূচি ছিল কিছুটা অগোছালো। যা উদ্যোক্তা প্রধান পরিচালক অরিন্দম শীল সবিনয়ে স্বীকার করে নিলেন।
তিনি বলেন, প্রথমবার বলে কিছুটা অগোছালো ভাব ছিলো। আগামী বছর থেকে তা আর হবে না। এবার সেভাবে প্রচারও করতে পারিনি। দ্বিতীয় দিন শনিবার (৫ জানুয়ারি) দর্শক পাইনি, এর দায় আমরাই নিচ্ছি। তবে প্রথম ও শেষদিন কানায় কানায় দর্শক পেয়েছি।
উল্লেখ্য দ্বিতীয়দিনই বেশিরভাগ শিল্পই ছিল বাংলাদেশি। তারমধ্যে উল্লেযোগ্য বাংলা ব্যান্ড চিরকুট, লাইসা আহমদ লিসা, অদিতি মহসি এবং বুলবুল ইসলামের মতো আরও শিল্পীরা।
অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেছিলেন অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। এছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের, বন্ধন ব্যাংকের মহাপরিচালক চন্দ্রশেখর ঘোষ, বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্সের শুভদীপ ঘোষ ও রাজ্যের যুব কল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসসহ অন্যান্যরা।
প্রথমদিন এ অনুষ্ঠানে জীবনকৃতি সম্মান পান সাবিনা ইয়াসমিন ও আরতি মুখার্জী।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৯
জিপি