তবে বিমানবন্দরের মতো কয়েক ঘণ্টা আগে নয়, কমপক্ষে বিশ মিনিট আগে যাত্রীদের রেলস্টেশনে পৌঁছালেই হবে। যাতে বিমানবন্দরের মতোই সম্পূর্ণ সিকিউরিটি চেকিংয়ের পর ট্রেনে উঠতে পারেন যাত্রীরা।
ইতোমধ্যেই এলাহাবাদ স্টেশনে (সম্ভাব্য নতুন নাম প্রয়াগরাজ স্টেশন) এ ব্যবস্থা চালু করেছে রেলমন্ত্রক। একইসঙ্গে কর্ণাটকের হুবলি স্টেশনেও যাত্রী সুরক্ষায় এ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
চলতি বছর সারাদেশেই এ ব্যবস্থা চালু করে দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রেলমন্ত্রক। যদিও বিমানবন্দরের মতো সিকিউরিটি চেকিংয়ের ব্যবস্থা দেশের রেলওয়ে স্টেশনগুলোতে আদৌ সুষ্ঠুভাবে কার্যকর করা সম্ভব কি না, তা নিয়ে ইতোমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।
কিভাবে কার্যকর হবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা? মন্ত্রক সূত্র মারফত, রেলস্টেশনে ঢোকার যে প্রবেশ পথগুলো রয়েছে সেগুলো সিল করে দেওয়া হবে। প্রবেশ পথে বসানো হবে কলাপসিবল গেট। রাখা হবে পর্যাপ্ত সংখ্যায় রেল পুলিশ। যারা স্টেশনে ঢোকার আগে যাত্রীদের সিকিউরিটি চেকিংয়ের দায়িত্বে থাকবেন।
আরও জানা গেছে, ভারতে মোট ২০২টি রেলস্টেশনের যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য স্টেশনের প্রবেশ পথ থেকে ট্রেনে ওঠার আগ পর্যন্ত যাত্রীদের সিকিউরিটি চেকিং, মালপত্রের পরীক্ষা, সিসিটিভি ক্যামেরা, বম্ব ডিটেকশনের মতো একাধিক বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি থাকছে ফেস রিকগনিশনের মতো ব্যবস্থাও। যাতে অপরাধী স্টেশন চত্বরে এলেই রেল পুলিশের কাছে সঙ্কেত চলে যেতে পারে। তবে শুধুমাত্র প্রবেশ পথে সিকিউরিটি চেকিং হয়ে গেল মানেই গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গেলো, তা মোটেও নয়। ট্রেনে ওঠার আগ পর্যন্ত যাত্রীদের আচমকা সিকিউরিটি চেকিং হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৯
ভিএস/আরবি/