উৎসবের মূল উদ্যোক্তা কবি ও লেখক বীথি চট্টোপাধ্যায় বলেন, ২০০৭ সালে এ উৎসব শুরু হয়। এই উৎসব শুরু করেছিলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।
‘আমি মনে করি আমরা কৃতজ্ঞ যে তিনি আমাদের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। কারণ যে মানুষটা ভারতবর্ষে সর্বোচ্চ পুরস্কার পেয়েছেন এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পদ ফিরিয়ে দিয়েছেন সেই মানুষকে সম্মান দিতে পেরে আমি অত্যন্ত গর্বিত। ’
এ বিয়য়ে আনিসুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের কবিদের সঙ্গে পশ্চিমবাংলার পাঠক ও শ্রোতাদের যোগাযোগ করিয়ে দিতে অনবদ্য ভূমিকা নিয়েছেন বিথী চট্টোপাধ্যায়। এসব অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পারস্পারিক সম্পর্কের ভিত্তিটা আরও শক্ত হয়। আমরা বাংলাদেশ যাত্রা শুরু করেছিলাম স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে। অল্পদিনের মধ্য দিয়ে সেই পথ আবার হারিয়ে যাচ্ছিল। এখন চেষ্টা করা হচ্ছে আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে নিয়ে আসার। কিন্তু আমাদের সামনে জঙ্গিবাদের সমস্যা, মৌলবাদী সমস্যা, সাম্প্রদায়িকতার সমস্যা আছে। তবে রাষ্ট্রযন্ত্র কঠোর হস্তে জঙ্গিবাদ দমন করছেন।
‘মৌলবাদের সঙ্গে লড়াইটা এত সহজ নয়, সাম্প্রদায়িকতাও দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। আমাদের দেশের মুক্তমনা লেখক-শিল্পীরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন সাম্প্রদায়িকতার ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। আমি মনে করি আরও সময় লাগবে। ভারতেও সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদের সমস্যা রয়েছে। এখানেও যশস্বী লেখক কবি-সাহিত্যিকেরা যথেষ্ট চেষ্টা করছেন এর বিরুদ্ধে কথা বলতে। আমি মনে করি এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন, আমাদের সংগ্রামকে আরও শক্তিশালী করবে এবং মানবতার বাণী সমৃদ্ধ করবে। কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ আমাকে সম্মান দেওয়ার জন্য। ’
এবার দুই বাংলার ৫০ জন বাচিকশিল্পী কবিতা উৎসবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এছাড়া কলকাতার বাংলাদেশ দূতাবাসের দায়িত্বপ্রাপ্ত (এইচওসি) কবি জামাল হোসেন অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠেও অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৯
ভিএস/এএ