ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

কলকাতায় ৭ মার্চ ভাষণের ৪৮ বছর পূর্তি উদযাপন 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪০ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০১৯
কলকাতায় ৭ মার্চ ভাষণের ৪৮ বছর পূর্তি উদযাপন  আলোচনা সভায় উপস্থিত অতিথিরা। ছবি: বাংলানিউজ

কলকাতা: ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া ঐতিহাসিক ভাষণের গুরুত্ব তুলে ধরে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে আলোচনা সভা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) উপ-হাইকমিশন চত্বরে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুতাবাস প্রধান তৌফিক হাসান, প্রথম সচিব (প্রেস) মো. মোফাকখারুল ইকবাল, কাউন্সেলর (কনস্যুলার) মনসুর আহমেদ, কাউন্সেলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) শেখ শফিউল ইমাম এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননাপ্রাপ্ত সাবেক সাংবাদিক দিলীপ চক্রবর্তী।


 
তৌফিক হাসান বলেন, জাতির ‍পিতার সেই ভাষণে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ মাতৃকার ডাকে যুদ্ধে অংশ নেয়। সেদিনের রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা না এলে হয়তো এতো অল্প সময়ের মধ্যে প্রতিরোধ ও জেগে ওঠার মানসিকতা গড়ে উঠতো না।  

‘দীর্ঘ ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে গণমানুষের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে সেই মহাকাব্য। ৭ মার্চের ১৯ মিনিটের সুমধুর ভাষণটি বিশ্বের ১২টি ভাষায় অনুদিত হয়েছে। ’

তিনি বলেন, ইউনেস্কো ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর ঐতিহাসিক ভাষণটি ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্ট্রারে’ অন্তর্ভুক্ত করে। এটি নিঃসন্দেহে সমগ্র বাঙালির জন্য একটি গর্বের বিষয়, অহংকারের বিষয়।
 
প্রথম সচিব (প্রেস) মো. মোফাকখারুল ইকবাল বলেন, বাঙালির কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে সমুন্নত রেখে গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে কিভাবে দেশ স্বাধীন করতে হবে বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে এ পথ বাতলে দিয়েছিলেন। এ ভাষণ আমাদের মুক্তির মন্ত্র, সংগ্রামের চেতনা, আত্মত্যাগের প্রেরণা।  


মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননাপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংবাদিক দিলীপ চক্রবর্তী বলেন, কলকাতা শহরে ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে প্রথম সভা হয়। সেই সভায় মোহাম্মদ রিয়াজ, ইলা মিত্রসহ গুণী ব্যক্তিরা বক্তব্য রাখেন। মুক্তিযুদ্ধকে পূর্ণ সমর্থন দেয় কলকাতার মানুষ।  

আলোচনার শুরুতে উপ-হাইকমিশনের দুই কর্মকর্তা যথাক্রমে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান। এরপর বঙ্গবন্ধুর ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০২৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৯
ভিএস/ইএআর/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।