ভারতের রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানিয়েছেন, পর্যটকের কথা মাথায় রেখে এরকম আরও ১০০টি ভিস্টাডোম কোচ (কাঁচে ঘেরা) তৈরি করা হচ্ছে। রেল পর্যটনের ক্ষেত্রে এ কোচের গুরুত্ব অনেক।
কী এই ভিস্টাডোম কোচ এবং রেল পর্যটনের ক্ষেত্রে তা কেন গুরুত্বপূর্ণ? এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এ ধরনের কোচের ছাদ এবং বাকি অংশের অনেকটাই তৈরি হয় সম্পূর্ণ কাঁচ দিয়ে। বসার আসনের পাশে যে জানালা তৈরি হয়, তা অত্যন্ত বড় আকারের থাকে। কোচের ছাদসহ অধিকাংশই কাঁচ দিয়ে তৈরি হওয়ার ফলে প্রাকৃতিক দৃশ্য পর্যটকদের সম্পূর্ণভাবে দৃষ্টিগোচর হবে। ট্রেন চলাকালীন বৃষ্টি হলে বা ট্রেন যখন ঘন বনের মধ্য দিয়ে যাবে, পুরো আবহটিই যাত্রীরা অনুভব করতে পারবেন নির্দিষ্ট আসনে বসেই। অর্থাৎ এই কোচে সওয়ার হয়ে যাত্রীদের পক্ষে সংলগ্ন প্রাকৃতিক দৃশ্যের একটি পূর্ণাঙ্গ অনুভব পাওয়া সম্ভব হয়। যার ফলে পর্যটকদের কাছে ভিস্টাডোম কোচের চাহিদা অত্যন্ত বেশি।
যে কারণে এক্ষেত্রে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে মন্ত্রণালয়। সম্ভবত ২০২০ অর্থবছরের মধ্যেই নতুন ১০০টি ভিস্টাডোম কোচ চালু করা হবে।
এছাড়া শুক্রবার (০৮ মার্চ) রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেছিলেন, আজ থেকে পরবর্তী ১৫১ দিনের মধ্যে ভারতের প্রায় ছয় হাজার স্টেশনের প্রতিটিতে ওয়াই-ফাই পরিষেবা চালু হয়ে যাবে। দ্রুত শেষ হয়ে যাবে দেশের মোট চার হাজার ৭শ’ ৯১টি স্টেশনে ফ্রি ওয়াই-ফাই পরিষেবা দেওয়ার কাজ। এছাড়া ১৯০টি স্টেশনের মানোন্নয়নের কাজ শেষ হবে চলতি মাসের মধ্যেই। তালিকায় নিয়ে আসা হবে আরও ৫০০টি স্টেশন। স্টেশন চত্বরে আরও প্রায় আড়াই হাজার শৌচাগার তৈরি করা হবে। স্টেনলেস স্টিলের বেঞ্চ বসবে ২৫০টি স্টেশনে।
একইসঙ্গে দেশের প্রতিটি রেলওয়ে ডিভিশনের অন্তত একটি স্টেশন সম্পূর্ণভাবে নারীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে বলেও জানান রেলমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৯
ভিএস/জেডএস