শনিবার (৯ মার্চ) কলকাতার প্রধান পুরভবনে নগরের মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
পশ্চিমবঙ্গে নগরায়ন ও শহরের সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশের ১১ জনের একটি প্রতিনিধিদল।
তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ-ভারত দুই নিকট প্রতিবেশী দেশ। উভয়ের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। উভয়ের মিত্রতার সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে। এখানকার ও বাংলাদেশের কৃষ্টি-সংস্কৃতি প্রায় একই রকম।
তিনি বলেন, ড্রেনেজ ও গার্বেজ ম্যানেজমেন্ট (বর্জ্য ব্যবস্থাপনা) ভারত কিভাবে করছে সেটা দেখার জন্য আমি আমার সফরসঙ্গীদের নিয়ে এখানে এসেছি। আমরা এখানে কলকাতার মেয়রের সঙ্গে বিষয়গুলো শেয়ার করি। তিনিও জানতে চান বাংলাদেশে কিভাবে হয়। তাতে মেয়রেরও অনেক কিছু বিষয় ভালো লেগেছে। মেয়র বলেছেন, আমাদের কিছু বিষয় কলকাতায় ফলপ্রসূ করা যায় কি-না, তা দেখবেন। এক কথায় আমরা উভয়পক্ষ পরিকল্পনা আদান-প্রদান করি।
মন্ত্রী তাজুল বলেন, আমি অনেকবার কলকাতায় এসেছি। কলকাতায় এখন অভূতপূর্ণ পরিবর্তন হয়েছে। এখানকার রাস্তাঘাট প্রশস্ত হয়েছে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়েছে।
এরপর কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, বাংলাদেশের মন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। তাদেরও কিছু পরিকল্পনা ভালো লাগে আমাদের।
কলকাতার কোন বিষয় মন্ত্রীর ভালো লেগেছে, জানতে চাইলে মেয়র বলেন, আমাদের দু’টি বিষয় মন্ত্রীর ভালো লেগেছে। প্রথমত কলকাতার নর্দমার পানি গঙ্গায় সরাসরি না পড়ে ফিল্টার হয়ে পড়ার প্রক্রিয়া এবং দ্বিতীয়ত গার্বেজ অর্থাৎ পচনশীল আবর্জনা কোন প্রক্রিয়ায় আগে শুকিয়ে ফেলা হয়। এছাড়া আরও কিছু বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলে।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, আমি বাংলাদেশকে আলাদাভাবে দেখি না। দুই দেশ হলেও উভয়ের মধ্যে যথেষ্ট ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে। আর যতোদিন আমি আছি, বাংলাদেশের নগর পরিকল্পনার জন্য নিশ্চয়ই সহযোগিতা করবো।
বৈঠক শেষে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ‘বেকার হোস্টেলে’ যান। সেখানে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন এবং কিছুটা সময় কাটান। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৯
ভিএস/এইচএ/