তফসিল প্রকাশের পরপরই সাম্প্রতিককালের বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে করা সমীক্ষা প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়া টিভি ও সিএনএক্স। সংশ্লিষ্টদের মতে, এসব ঘটনা আসন্ন ভোটেও প্রভাব ফেলবে।
সমীক্ষা অনুযায়ী, গোটা দেশের প্রায় সব জায়গাতেই এনডিএ জোট তথা বিজেপি বাকিদের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে রয়েছে। কিছু জায়গায় বলা হয়েছে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে এনডিএ, কোথাও বলা হচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে কিছুটা দূরে থামবে এনডিএ।
তবে বিরোধী কংগ্রেস বা ইউপিএ জোট যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ধারে কাছে পৌঁছতে পারবে না, তা ফের একবার উঠে এসেছে সমীক্ষায়। অন্যদিকে রাজ্যের হিসেবে দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস ফের একবার নিজেদের ঘাঁটি আগলে রাখতে পারছে।
সমীক্ষা অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে ৩০টিতে তৃণমূল কংগ্রেসের জয় নিশ্চিত। অর্থাৎ আগের বারের চেয়ে ৪টি আসন কম পেলেও নিজেদের স্থান অটুট রাখতে পারবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তবে এবার সমীক্ষায় রাজ্যে বিজেপিকে ১২টি আসন পেতে পারে বলে সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। যার অর্থ সবকটি আসন তৃণমূল ও বিজেপি মিলে ভাগাভাগি করে নেবে। কোনো আসন পাবে না বাম-কংগ্রেস জোট।
এই দুই দল পশ্চিমবঙ্গে কোনো আসন জিততে পারবে না বলে সমীক্ষায় বলছে। অর্থাৎ সমীক্ষা অনুযায়ী এই প্রথম দুই দল খালি হাতে ফিরবে। এমনটা হলে তা এক রেকর্ড হতে চলেছে নিঃসন্দেহে। কারণ অতীতে এমন রেকর্ড নেই। ২০১৪ সালে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ৩৪, বিজেপি ২, সিপিএম ২ ও কংগ্রেস ৪টি আসন পেয়েছিল।
আবার লোকসভা নির্বাচনের ৫৪৩ আসনের মধ্যে সমীক্ষা বলছে, এনডিএ ২৮৫টি আসনে জিতবে। এর মধ্যে বিজেপি ২৩৮টি আসন জিততে পারে। অবশ্য সমীক্ষা হয় কয়েকটি পন্থা এবং সাম্প্রতিকতম ঘটনার উপর নির্ভর করে।
আসল রায় দেবে জনগণ। তা জানা যাবে, ২৩ মে ফল ঘোষণার দিন। তবে গত ২০১৪ সালের নির্বাচনে ইন্ডিয়া টিভি ও সিএনএক্স সমীক্ষা এনডিএ তথা বিজেপিকেই এগিয়ে রেখেছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৯
ভিএস/এমএ