১২ ও ১৯ মে’র বদলে বিকল্প কোনো দিন ঠিক করা যায় কি না, তা নিয়ে কমিশনকে ভাবনা চিন্তা করতে অনুরোধ করেছে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো।
আম আদমি পার্টি (আপ) থেকে নির্বাচিত রাজ্যসভার সংসদ সদস্য সঞ্জয় সিং বলেছেন, তীব্র গরমে রমজানে রোজা রেখে ভোটের লাইনে দাঁড়াতে মুসলিম ধর্মালম্বীদের ভোগান্তি বাড়বে।
এছাড়া আম আদমি পার্টির (আপ) বিধায়ক আমানাতুল্লা খানের অভিযোগ, বিজেপিকে রাজনৈতিক সুবিধা করে দিতেই রমজান মাসের মধ্যে কমিশন নির্বাচনের দিন ধার্য করেছে। তবে শুধু আম আদমি পার্টি-ই নয়, একাধিক বিরোধী দল এই ইস্যুতে সরব হয়েছেন।
তবে, রমজান মাসে ভোট হওয়ায় মুসলিমরা সমস্যায় পড়বেন না বলে মনে করেন অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমের (এআইএমআইএম) নেতা সংসদ সদস্য আসাদউদ্দিন ওয়াইসি।
এ ধরনের নেতিবাচক আলোচনাকে ‘অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক’ বলে মনে করেন তিনি। কোনো দল যাতে রাজনৈতিক ফয়দা লুটার চেষ্টায় বিষয়টিকে ব্যবহার না করে, পরোক্ষভাবে সেই অনুরোধও জানিয়েছেন এই এমপি।
ওয়াইসি বলেন, ‘আমি প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলকে অনুরোধ করছি- কারণ যাই হোক না কেন, মুসলিম সম্প্রদায় ও রমজানকে ভোটের জন্য ব্যবহার করবেন না। ’
হায়দ্রাবাদ থেকে নির্বাচিত এই এমপি বলেন, ‘রমজান মাসে মুসলিমরা রোজা থাকেন ঠিকই। তবে এর সঙ্গেই তারা সাধারণ জীবন-যাপনও করেন। অফিসেও যান, ব্যবসা করেন। সুতরাং, আমার মনে হয়, রমজান মাসে ভোট হওয়ার বেশি সংখ্যক মুসলিম ভোটার এতে অংশ নেবেন। এটা সেভাবে কোনো প্রভাব ফেলবে না। ’
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের জন্য সম্প্রতি তফসিল ঘোষণা করে ভারতের নির্বাচন কমিশন।
তফসিল অনুযায়ী, এবার সাত দফায় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। এবার প্রথম দফার ভোট হবে ১১ এপ্রিল, দ্বিতীয় দফার ১৮ এপ্রিল, তৃতীয় দফার ভোট ২৩ এপ্রিল, চতুর্থ দফার ভোট ২৯ এপ্রিল, পঞ্চম দফার ভোট ৬ মে, ষষ্ঠ দফার ভোট ১২ মে এবং সপ্তম দফার ভোটগ্রহণ হবে ১৯ মে। আর ভোটগণনা শুরু হবে ২৩ মে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৯
ভিএস/এমএ