ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

নানা আয়োজনে কলকাতায় বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৯
নানা আয়োজনে কলকাতায় বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন জন্মবার্ষিকীতে কলকাতায় বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা-ছবি-বাংলানিউজ

কলকাতা: হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী রোববার (১৭ মার্চ)। এ উপলক্ষে বাংলাদেশসহ কলকাতায় দিনব্যাপী উদযাপন করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু ৯৯তম জন্মবার্ষিকী। 

এ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত কলকাতার বেকার হোস্টেলের ২৪ নম্বর ঘরে কলকাতাস্থিত বাংলাদেশ উপ-দূতাবাস এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রথমেই বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করেন উপ-দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

দূতাবাস ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ বিমান এয়রলাইন্সের পক্ষ থেকে সাকিয়া সুলতানা ও সোনালী ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে রুহুল আমিন মাসুদসহ তাদের কর্মচারীরা। প্রত্যেকবারের মতো উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, চোখ পত্রিকার মানিক সরকার।

এ বিষয়ে বিমান বসু বলেন, বঙ্গবন্ধু যে কলেজে পড়তেন সেই তৎকালীন ইসলামিয়া কলেজে একসময় আমিও পড়তাম। আমি কলকাতায় থাকলে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে বেকার হোস্টেলে একবার আসবোই। এটা অনেকদিন ধরেই করে আসছি। বঙ্গবন্ধু এই হোস্টেলের ২৪ নম্বর কক্ষে থাকতেন। আমি যখন কলেজের ইউনিয়নের জেনারেল সেক্রেটারি ছিলাম তখন হেদায়েতুল্লাহ সাহেব ছিলেন এখানকার সুপার। আমি সুপারকে বলেছিলাম এই কক্ষটা আলাদা করে সংরক্ষণ করা উচিত। হেদায়েতুল্লাহ সাহেব বলেছিলেন, ঘরটা আলাদা করে রাখা আছে, তবে মাঝে মাঝে কোনো রোগী এলে দেওয়া হয়। আমি বলেছিলাম যে এটা একদমই উচিত না। এটাকে পুরোপুরি সিল করে দেওয়া উচিত। তারপরই কিন্তু রুমটা সিল করে দেওয়া হয়।  

বেকার হোস্টেলের ২৪ নম্বর কক্ষ-ছবি-বাংলানিউজকেন এরকম করেছিলেন, উনাকে কিভাবে চিনতেন- প্রশ্নের উত্তরে  বিমান বসু বলেন, শেখ মুজিব তখনও বঙ্গবন্ধু হননি। কিন্তু একজন সংগ্রামী মানুষ ছিলেন তিনি। আমাদের সঙ্গে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিচয়। সেই ৪৮ সাল থেকে মুজিব লড়াইয়ে, সংগ্রামের প্রতীক। তারপর তো অনেক রক্তের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ তৈরি করলেন। ভাষা ঘিরে রাষ্ট্র ভাবা যায়! 

এ বিষয়ে দূতাবাস প্রধান তৌফিক হাসান জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্মবার্ষিকী। উপলক্ষে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে আমরা বেকার হোস্টেলে একত্রিত হয়েছি। এছাড়া এই দিনটায় বাংলাদেশে জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সব শিশুদের প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই।  

দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হচ্ছে উপ-দূতাবাস প্রাঙ্গণে।

বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদানের মাধ্যমে উপস্থিত সবাই বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর উপস্থিত সবাই বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফেরাত করেন। মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর সাফল্য কামনাও করা হয়।  

প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত তৎকালীন ইসলামিয়া কলেজে (যা বর্তমানে মৌলানা আজাদ কলেজ নামে পরিচিত) ভর্তি হন। সেই সময় তিনি বেকার হোস্টেলের ২৪ নম্বর কক্ষে এক আবাসিক ছাত্র হিসেবে থাকতেন। ২০১১ সালে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত এই কক্ষে তার আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, ১৭ মার্চ, ২০১৯
ভিএস/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।