মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরাদ হাকিম, রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষামন্ত্রী সাধন পান্ডে, চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন সিংহসহ পশ্চিমবঙ্গের শীর্ষ স্থানীয় বুদ্ধিজীবী, রাজনীতি, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, ক্রীড়াবিদ ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান সচিব দেবাশীষ সেন।
অনুষ্ঠানে শুরুতেই বাজানো হয় দু’দেশের জাতীয় সঙ্গীত। এরপর উপদূতাবাস প্রধান তৌফিক হাসান শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় পদার্পণ করেছে। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ সরকার বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ঘটনা স্মৃতিচারণ করে দেবাশীষ সেন বলেন, বাংলাদেশে বর্তমান সরকার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী চির অটুট ছিল এবং থাকবে।
এর আগে সকালে যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করে কলকাতাস্থিত বাংলাদেশ উপদূতাবাস। এ উপলক্ষে প্রথম সকালেই উপ দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। পতাকা উত্তোলন করেন উপদূতাবাস প্রধান তৌফিক হাসান।
এরপর বাংলাদেশ সরকারের ঘোষিত নিয়ম অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী নির্ধারিত সময়ে লাখো কন্ঠের সাথে উপ দূতাবাসে উপস্থিত সবার জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ও তাদের পরিবার এবং কলকাতা শাখার সোনালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ বিমান কর্মকর্তারা জাতীয় সঙ্গীতে কন্ঠ মেলান।
এরপর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া বানী পাঠ করেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
এরপর দূতাবাসের মসজিদের ইমাম সবাইকে নিয়ে বাংলাদেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন।
সান্ধ্যকালীন অনুষ্ঠানে উপ দূতাবাসের বিভিন্ন আয়োজনে সঙ্গে ছিলো নৈশভোজ। সেখানে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে ছিলেন অন্যান্য দেশের দূতাবাসের কর্মকর্তারাও।
বাংলাদেশ সময়: ০৬১৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৯
ভিএস/এমএমআই/এএটি