সব মিলিয়ে বাজেয়াপ্ত হওয়া সামগ্রীর মূল্য ৫৬২ কোটি ৩৯ লাখ রুপি। আর নির্বাচনী লড়াই জমে ওঠার আগেই এই বাজেয়াপ্ত হওয়া সামগ্রীর অঙ্ক দেখে নির্বাচন কমিশনের চক্ষু কপালে উঠেছে।
গোটা নির্বাচন পর্বে এই কালো টাকার দাপাদাপি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগে রয়েছে ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। কারণ শেষ পর্বের ভোটগ্রহণ হবে ১৯ মে, অর্থাৎ দেড় মাসেরও বেশি সময় এখনও বাকি।
রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচন কেন্দ্র প্রতি নগদ টাকায় অনুদানের অঙ্ক কমিয়ে দেয়ার পাশাপাশি কালো টাকার লেনদেন কমাতে নোটবন্দির মতো ব্যবস্থা নেয়ার পরও কী করে এত কালো টাকা ছড়িয়ে রয়েছে, তা নিয়ে গভীর চিন্তায় নির্বাচন কমিশন।
সে কারণেই কালো টাকার লেনদেন বন্ধসহ বেআইনি মদ, নারকোটিক্স, সোনা-রূপার মতো ধাতু বাজেয়াপ্ত করতে বাড়তি উদ্যোগ নিচ্ছে কমিশন। জোর দেয়া হচ্ছে তল্লাশি অভিযানে।
রাজ্যে রাজ্যে পাঠানো নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষকদের আরও বেশি করে চোখ কান-খোলা রাখতে বলেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা।
দিল্লির নির্বাচন সদন থেকে যাচ্ছে ঘন ঘন নির্দেশ। লক্ষ্য প্রতিটি রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচনী পর্যবেক্ষক ও স্থানীয় প্রশাসনকে আরও তৎপর করে তোলা।
সপ্তদশ লোকসভার তফসিল গত ১০ মার্চ ঘোষণা করেছিলেন দেশটির মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। তারপর থেকে পশ্চিমবঙ্গসহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে এখনও পর্যন্ত যে পরিমাণ হিসেব বর্হিভূত সামগ্রী বাজেয়াপ্ত হয়েছে; তার একটি বিস্তারিত তালিকা দিয়েছে কমিশন।
যেখানে এখনও পর্যন্ত গোটা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হিসেব বহির্ভত নগদ অর্থ ধরা পড়েছে অন্ধ্রপ্রদেশে। পরিমাণ ৫৫কোটি রুপি। সবচেয়ে কম ত্রিপুরায়। বিজেপি শাসিত এই রাজ্য থেকে এখনও পর্যন্ত হিসেব বহির্ভূত মাত্র ৩০ হাজার রুপি বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
গুজরাট থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে এককোটি ২৩ লাখ রুপি। পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন কমিশন এখনও পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত করেছে ৬ কোটি ৮৩ লাখ রুপি।
নগদ অর্থের পাশাপাশি গোটা দেশ থেকে যে পরিমাণ বেআইনি যে মদ বাজেয়াপ্ত হয়েছে, তার আর্থিক মূল্য ৯৩ কোটি ৫৯ লাখ রুপি। বেআইনি ড্রাগস, নারকোটিক্স যা বাজেয়াপ্ত হয়েছে তার আর্থিক মূল্য ১৩৩ কোটি ৮৬ লাখ রুপি। হিসেব বহির্ভূত বাজেয়াপ্ত সোনা-রূপার মতো ধাতুর মূল্য ১৬৯ কোটি ৩৬ লাখ রুপি। এছাড়া ভোট পেতে হিসেব বর্হিভূত নানা বিতরণের উপহার সামগ্রী যা বাজেয়াপ্ত হয়েছে, রুপির অঙ্কে তার পরিমাণ ১২ কোটির কিছু বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৯
ভিএস/এমএ