প্রতি নির্বাচনের আগেই ভারতে কাশ্মীর ইস্যু বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তবে এর আগে নির্বচনী প্রচারে কাশ্মীর ইস্যু কোনো নেতাই বিশেষ কোনো মডেলের কথা বলেননি।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তার ফ্রন্ট ক্ষমতায় এলে কাশ্মীর সমস্যা সম্পর্কে তার যে আলাদা ভাবনাচিন্তা রয়েছে সেটা তিনি প্রয়োগ করবেন।
এছাড়া তিনি দার্জিলিং- এর পার্বত্য অঞ্চলে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার আলাদা রাজ্যের দাবি এবং পশ্চিবঙ্গের জঙ্গলমহলে মাওবাদী সমস্যার প্রসঙ্গও তোলেন। পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসার পর জঙ্গলমহল (বাকুড়া-পুরুলিয়া) ও পাহাড়ের জঙ্গি আন্দোলন প্রায় পুরোটাই নিয়ন্ত্রণে এনেছেন বলে দাবি করেন তিনি।
আত্মবিশ্বাসী বলে পরিচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘হবে না, বলে কিছু নেই। ’ কাশ্মীরের কথা বলতে গিয়ে কান্দাহার বিমান অপহরণের সময় তার ভূমিকা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন রাজ্যবাসীকে।
মমতা জানান, কান্দাহার বিমান অপহরণ কাণ্ডের সময় তিনি নিজেই তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী যশবন্ত সিনহাকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, জঙ্গিদের হাতে আটক যাত্রীদের ছাড়িয়ে আনতে দরকার হলে তাকে পাঠানো হোক।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই কলকাতায় এসে সেই গোপন তথ্য ফাঁস করে দিয়েছিলেন যশবন্ত সিনহা।
পাকিস্তান প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস বৈদেশিক নীতির ক্ষেত্রে সরকারের পাশে থাকবে। এখন দেখার যে মডেলে পশ্চিমবঙ্গে দার্জিলিং এবং জঙ্গল মহলের সমস্যা সমাধান করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মডেল কাশ্মীরের ক্ষেত্রে কতটা কার্যকর হয়। অবশ্য পরিকল্পনা তার ক্ষমতায় আসলেই হবে, এমটাই স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন রাজ্যবাসীকে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৯
এমএ