তাতে বলা হয়েছে, ডিজিটাল পরিকাঠামোকে সরকারি পরিকাঠামো হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকারকে এবং ডিজিটাল নজরদারি বন্ধ করা হবে।
ক্ষমতায় এলে নাগরিকদের ব্যক্তিগত ডেটাকে বাণিজ্যিক প্রয়োজনে ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হবে। নেট-নিরপেক্ষতা বজায় রাখা হবে। এর আগে ইন্টারনেট নিরপেক্ষতার বিষয়টি বিভিন্ন সময় ভারতে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসে। ইন্টারনেট তথ্য গোপনীয়তার দাবিতে বিশেষ করে ভারতের যুব সমাজ বারবার মুখ খুলেছে।
নেট নিরপেক্ষতার বিষয়টির পাশাপাশি সিপিআই (এম) তাদের ইশতেহারে বলেছে, ক্ষমতায় এলে তৃতীয় লিঙ্গ বিলের বর্তমান সমস্যাগুলো সংশোধন করে একটি সুসংহত বিল আনা হবে। এ সম্প্রদায়ের লোকজনকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি চাকরিতে সংরক্ষিত কোটা দেওয়া হবে।
এছাড়াও ইশতেহারে গুরুত্ব পেয়েছে নারীদের জন্য এক তৃতীয়াংশ কোটা সংরক্ষণ, সবার জন্য পেনশনের মতো আরো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, প্রকাশ করাত, বৃন্দা করাতের মতো কেন্দ্রীয় নেতারা।
বরাবরই নির্বাচনের আগে দলটির ইশতেহারে আর পাঁচটি রাজনৈতিক দলের তুলনায় ভিন্ন প্রতিশ্রুতি থাকে তাদের। তাই ক্ষমতায় না থাকলেও বামদের ইশতেহারে কি কি গুরুত্ব পাচ্ছে তা জানার আগ্রহ থাকে রাজ্যের অন্য রাজনৈতিক দলসহ জনগণের। গঠনমূলক ইশতেহারের জন্য সিপিআই (এম) সবসময়ই ভিন্ন পথে হাঁটে। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৯
ভিএস/জেডএস