মমতার কটাক্ষ, শুধু কথায় চিড়ে ভেজে না। ক্ষমতায় আসার আগে প্রতিশ্রুত দিয়েছিলেন দেশে ব্ল্যাকমানি ফিরিয়ে এনে প্রত্যেকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ রুপি করে ভরে দেবেন।
‘কত বড় ধুরন্ধর! ধাপ্পা দিয়ে ভোট নিয়ে এখন নতুন অবতার চৌকিদার। চৌকিদার সেজেছেন। ’
মমতা বলেন, অনেকে চৌকিদার নিয়ে অনেক কিছু বলছেন। আমি শুধু বলবো, এই চৌকিদার ঝুটা হ্যায়, ভুয়ো চৌকিদার। (রাহুল গান্ধী মোদিকে চৌকিদার চোর হ্যায় বলে কটাক্ষ করেন। ) মমতার কথায়, আসল যারা চৌকিদার, তাদের সম্মান করি। কিন্তু এ তো ভেকধারী! দেশের বহু এলাকায় চৌকিদারদের বেতন হচ্ছে না। আর ভোটের সময় উনি (নরেন্দ্র মোদী) চৌকিদার সেজে বসে আছেন। শুধু প্রচার চাই। কখনও ঝুটা চা-ওয়ালা, কখনও ফেকু চৌকিদার। এখন আবার ফিল্মস্টার।
তৃণমূল প্রধান বলেন, নেহেরুর কোট এখন নমো কোট। দোকান হয়েছে। নমো চ্যানেল, এখন আবার সিনেমা হচ্ছে। কে তুমি মোদীবাবু? কী করেছো দেশের জন্য? কেন সাধারণ মানুষ দেখবে তোমার সিনেমা? এ যেন মহম্মদ বিন তুঘলকের ঠাকুরদা, হিটলারের জ্যাঠামশাই!
‘কৃষকরা আত্মঘাতী হচ্ছেন কেন? দু’কোটি মানুষ কাজ হারাল কেন? নোটবন্দির নামে লুট হলো কেন? জবাব দাও মোদীবাবু। সুপ্রিমোর কটাক্ষ, বিজেপির তিনটে গুণ। লুট, দাঙ্গা আর মানুষ খুন। ’
এদিন সকাল থেকেই কোচবিহার তথা মাথাভাঙার আকাশের মুখ ছিল ভার। দুপুর দু’টোয় মমতার সভার কিছুক্ষণ আগে থেকে ঘন কালো হয়ে যায় আকাশ। হাওয়া বইছিল জোরে। আবহাওয়ার জেরে সভা করা নিয়ে কপালে ভাঁজ পড়ছিল তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের। তবে হেলিকপ্টারের আওয়াজ জানান দিচ্ছিলো, আসছেন তিনি। মঞ্চে উঠলেন মমতা, মাইক্রোফোন হাতে নিলেন। এরপরই সরাসরি ভাষণে তোপ দাগতে থাকেন মোদীর বিরুদ্ধে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৯
ভিএস/এএ