সকাল ৭টায় শুরু হওয়া ভোটের এ কার্যক্রম চলবে সন্ধ্যা ছ’টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকে এখনও পর্যন্ত সেভাবে কোনো অভিযোগ কিংবা অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
প্রথম দফায় অন্ধ্র প্রদেশের ২৫টি, অরুণাচল প্রদেশের ২টি, আসামের ৫টি, বিহারের ৪টি, ছত্তিশগড়ের ১টি, কাশ্মীরের দুটি, মহারাষ্ট্রের ৭টি, মনিপুরের ১টি, মেঘালয়ের ২টি, মিজোরামের ১টি, নাগাল্যান্ডের ১টি, উড়িষ্যার ৪টি, সিকিমের ১টি, তেলেঙ্গানার ১৭টি, ত্রিপুরার ১টি, উত্তর প্রদেশের ৮টি, উত্তরাখণ্ডের ৫টি, আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপপুঞ্জের ১টি, লাক্ষাদ্বীপের ১টি ও পশ্চিমবঙ্গের ২টি আসনে ভোট হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ হচ্ছে। আর ত্রিপুরা রাজ্যের লোকসভা আসনের ত্রিপুরা পশ্চিমেও ভোট হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গের কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের দুটি লোকসভা কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ৩৪ লাখ ৫৪ হাজার ২৭৬ জন।
ভোটের দায়িত্বপালনকারী কর্মী ছাড়া কেউ মোবাইল ফোন নিয়ে বুথের ভেতরে ঢুকতে পারবেন না। দুটি কেন্দ্র মিলিয়ে মোট বুথের সংখ্যা ৩ হাজার ৮৪৪। তার মধ্যে ১ হাজার ৯৬৭টি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধা সেনা এবং বাকি বুথে ১ হাজারে ৮৭৭টি বুথে থাকবেন রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ সদস্যরা।
এছাড়াও বুথগুলোয় আছে ভিডিও ক্যামেরা, সিসিটিভি এবং অনলাইন ওয়েবকাস্টিংয়ের মতো ব্যবস্থা।
এই ওয়েবকাস্টিংয়ের জন্য দিল্লি ও কলকাতায় বসে নির্বাচন কমিশনের কর্তারা দেখতে পারবেন সমস্ত ভোট প্রক্রিয়াটা। এছাড়া দেখতে পাবেন পুলিশ পর্যবেক্ষকরাও। এছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে সীমান্ত এলাকাতেও রয়েছে কড়া নিরাপত্তা। সিল করে দেয়া হয়েছে ওই অঞ্চলের সীমানা।
রাজ্যের যে ২টি আসনে ভোট নেয়া হচ্ছে; সেই কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে মূল লড়াই তৃণমূলের সঙ্গে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির।
এই দুই কেন্দ্রে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ১৮ জন। কোচবিহারে ১১ এবং আলিপুরদুয়ারে সাতজন। এর মধ্যে নারী প্রার্থী দুজন। কোচবিহারে এবার মোট ভোটার ১৮ লাখ ১০ হাজার ৬৬০ জন।
তার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৯ লাখ ৪১ হাজার ৪৭৯ জন। নারী ভোটার ৮ লাখ ৬৯ হাজার ১৭৫ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ছয়জন। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ৪৮৭টি। তার মধ্যে কোচবিহার কেন্দ্রে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ১ হাজার ২৫৩টি। মোট ৮ হাজার ৪০ জন কর্মীকে ভোটের কাজে লাগানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৯
ভিএস/এমএ/