এ ভয়ে শুক্রবার (৩ মে) সারারাত দুই চোখের পাতা এক করেনি শহরবাসী। কিন্তু এ যাত্রায় ঘূর্ণিঝড়ের বড় আঁচড় থেকে রক্ষা পেলো কলকাতা।
স্থানীয় সময় শুক্রবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানে ফণী। রাত দেড়টায় কলকাতায় আঘাত করার কথা ছিলো প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির।
তবে, পশ্চিমবঙ্গে ঢোকার পর থেকেই দুর্বল হতে থাকে ফণী। খড়গপুর হয়ে হুগলি, হাওড়া, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ার দিকে এগিয়ে যায় ঘূর্ণিঝড়। শেষ পর্যন্ত কলকাতার পাশ ঘেঁষে বেরিয়ে যায় এ ঝড়।
শনিবার (৪ মে) সকালে আবহাওয়া দফতর জানায়, ঘূর্ণিঝড় ফণীর জেরে কলকাতাসহ রাজ্যের দক্ষিণ জেলাগুলোতে যা হয়েছে এরচেয়ে বড় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা আর নেই।
ফণীর আঘাতে দক্ষিণের জেলাগুলোর মধ্যে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মেদিনিপুর ও নদীয়া। সেখানে গাছ-গাছালি উপড়ে গেছে, ফসল নষ্ট হয়েছে, ধসে পড়েছে মাটির ঘর, উড়ে গেছে টিনের ছাউনি।
বড় ক্ষয়ক্ষতি থেকে কলকাতা রক্ষা পাওয়ার কারণ হিসেবে আবহাওয়া দফতর বলছে, ঘূর্ণিঝড় ফণী যখন বঙ্গোপসাগরের ওপর দিয়ে উড়িষ্যা উপকূলে আছড়ে পড়ে পশ্চিমবঙ্গের দিকে এগোচ্ছিলো, তখন ছোট নাগপুর মালভূমি অর্থাৎ বিহার অঞ্চলে আরেকটি নিম্নচাপ তৈরি হয়। একদিকে শুষ্ক তাপমাত্রা, অন্যদিকে নিম্নচাপের টান- এর ফলে পশ্চিমবঙ্গে ঢোকার পর দ্রুত শক্তি হারায় ফণী। কলকাতা রক্ষা পায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৯
একে/এইচএ/