এদিন, কেশপুরের শিবশক্তি হাইস্কুলে বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষকে ঘিরে বিক্ষোভ করেছে তৃণমূল নেতাকর্মীরা। কাগজপত্র না দেখানোয় ভারতী ঘোষের গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ।
জানা যায়, ভারতী ঘোষকে ঘিরে তৃণমূল কর্মীরা বিক্ষোভ করলে শুন্যে গুলি ছোড়েন তার নিরাপত্তারক্ষী। চার রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলে জানা গেছে। এসময় বখতিয়ার খান নামে এক তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এর আগে, ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের দোগাছিয়ায় বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষকে ঘিরে শুরু হয় তুলকালাম। কেন্দ্রে পৌঁছাতেই তাকে ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ, বৃষ্টির মতো পড়তে থাকে ইট। ইটের আঘাতে ভারতী ঘোষের নিরাপত্তারক্ষীর মাথা ফেটে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এসময় ভারতীর গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায়।
এ বিষয়ে ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অভিনেতা দেব বলেন, প্রচণ্ড গরমে বিরোধী প্রার্থীর মাথা গরম হয়ে গেছে। তাকে মাথা ঠাণ্ডা রাখার আহ্বান জানান দেব। পাশাপাশি সব কিছুর জন্য ভারতী ঘোষকেই দুষেছেন তিনি।
দেব বলেন, ভারতী ঘোষ যেভাবে সন্ত্রাস তৈরি করেছেন, তা একেবারেই কাম্য নয়। ঘাটালের মানুষের ওপর আমার ভরসা রয়েছে।
ঘাটাল ছাড়াও হলদিয়া সুতাহাটা গোপালপুর বিদ্যালয়ে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। সেখানে পুলিশকে লক্ষ্য করেও ইটবৃষ্টি হয়েছে। আহত হয়েছেন দু’দলের বেশ কয়েকজন সদস্য। এছাড়া হলদিয়ায় সিপিআইএম প্রার্থীর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে সিপিআইএম প্রার্থী পরিতোষ পট্টনায়েকের বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে দলটি।
এদিকে, পশ্চিম মেদিনিপুরে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। তাকে ঘিরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেয় তৃণমূল কর্মীরা। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে এলাকা ছাড়েন দিলীপ ঘোষ।
ভোটের আগের রাতেই ওই কেন্দ্রের গোপীবল্লভপুরে রামিন সিং নামে বিজেপির বুথ সভাপতিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, তৃণমূল হারছে, তাই এবার কম কর্মী খুন হচ্ছে। হারবে বুঝেই শেষের দিকে সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল।
এছাড়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার নারায়ণগড়ে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে হামলার খবর পাওয়া গেছে। পাতলি অঞ্চলে তৃণমূলের ক্যাম্প অফিসেও হামলা হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন দলটির চার কর্মী। আহতদের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের সদস্য। তাদের মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, রোববার (১২ মে) সকাল ১১টা পর্যন্ত তমলুকে ভোট পড়েছে ৪১.২০ শতাংশ, কাঁথিতে ৩৭.৫৩ শতাংশ, ঘাটালে ৩৯.৪১ শতাংশ, ঝাড়গ্রামে ৪১.৮৭ শতাংশ, মেদিনীপুরে ৩৭.৪২ শতাংশ, পুরুলিয়ায় ৩৫.৭৮ শতাংশ, বাঁকুড়ায় ৩৩.০৭ শতাংশ, বিষ্ণুপুরে ৩৭.৫০ শতাংশ। রাজ্যে গড়ে ভোট পড়ছে ৩৭.৯৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৯
ভিএস/একে