ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

পশ্চিমবঙ্গে শেষ হলো নির্বাচনী প্রচার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০২ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৯
পশ্চিমবঙ্গে শেষ হলো নির্বাচনী প্রচার পশ্চিমবঙ্গে শেষ হলো নির্বাচনী প্রচার

কলকাতা: নজিরবিহীনভাবে নির্বাচন কমিশন ভারতীয় সংবিধানের ৩২৪ ধারা প্রয়োগ করে পশ্চিমবঙ্গের শেষ দফার ভোট প্রচারকে একদিন কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে অন্যান্য রাজ্যে শুক্রবার পর্যন্ত ভোট প্রচার চললেও বৃহস্পতিবার (১৬ মে) স্থানীয় সময় রাত ১০টায় শেষ হয় পশ্চিমবঙ্গের ভোটের প্রচার। 

এ নির্বাচনী প্রচারে রাজ্য ছিল সরগরম। দু’টি জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

প্রথমে মথুরাপুর, তারপর দমদম। দমদমে সভা থেকে জম্মু-কাশ্মীরের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তুলনা টানলেন নরেন্দ্র মোদী।

সভায় মোদী বলেন, জম্মু কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার আতঙ্ক থাকে। কিন্তু সেখানের ভোটে এতো হিংসা হয় না। সেখানে বিনা হিংসায় ভোট হয়। আর পশ্চিমবঙ্গে ভোটে সব দফায় হিংসা হয়েছে। তৃণমূলের গুণ্ডারা রাজ্যকে নরকে পরিণত করেছে।  

প্রচারে পিছিয়ে ছিলেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতের লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম তথা শেষ দফায় কলকাতা ও তার সংলগ্ন এলাকার ৯টি লোকসভা কেন্দ্রের জন্য শেষ মুহূর্তের প্রচারে পায়ে হেঁটে প্রায় গোটা দক্ষিণ কলকাতা চষে ফেলেন মমতা। প্রচারের শেষ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচার কর্মসূচি ছিল জমজমাট।  

প্রথমে তিনি সভা করেন দক্ষিণ ২৪পরগনার ডায়মন্ড হারবারে। এরপর পদযাত্রা শুরু হয় কলকাতার একদম দক্ষিণ প্রান্ত ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের জোকা থেকে। পদযাত্রায় বিপুল মানুষের সাড়া মেলে। তৃণমূল সুপ্রিমোর দ্বিতীয় পদযাত্রা শুরু হয় কলকাতার যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে। পদযাত্রায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন যাদবপুর লোকসভার প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী। পথের ধারে দাঁড়িয়ে বিশাল সংখ্যক মানুষ মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এদিনের শেষ পদযাত্রাটি শুরু হয় বালিগঞ্জ থেকে। এছাড়া মমতা দু’টি জনসভা করেন। ডায়মন্ড হারবার ও হাওড়া মন্দির বাজার এলাকায়। প্রতিটি সভা থেকেই তৃণমূল সুপ্রিমো তীব্র ভাষায় বিজেপি এবং নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করেন।  

এদিন তৃণমূলের প্রচারে অংশগ্রহণ করেছিলেন শতাব্দী রায়, দেব, নুসরাতসহ তৃণমূলের সমস্ত তারকা প্রার্থীরা।

শেষ দিনের প্রচারে পিছিয়ে ছিল না বামেরা। তাদের ঐতিহ্য মতো ছোট ছোট পথসভার সঙ্গে ছিল হেভিওয়েট নেতাদের সভা। প্রচারের নেমে ছিলেন সিপিআই (এম)-এর সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্রসহ অন্যান্য বাম নেতারা।  দক্ষিণ কলকাতার মমতার বাড়ি ভবানীপুরের সভা থেকে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু তীব্র ভাষায় একই সঙ্গে তৃণমূল আর বিজেপিকে আক্রমণ করেন।  

শেষ দিনের কংগ্রেসের প্রচার কর্মসূচিও ছিল তুঙ্গে। শনিবার (১৯ মে) শেষ পশ্চিমবঙ্গের ৮টি আসনসহ ভারতের ৮টি রাজ্যের ৫৯টি আসনের সপ্তম দফার ভোটগ্রহণ হবে। তার আগে পশ্চিমবঙ্গে ছিল শেষ প্রচার। ফলাফল প্রকাশিত হবে বৃহস্পতিবার (২৩ মে)। ওই দিনই জানা যাবে আগামী পাঁচ বছরের জন্য কে হবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।  

বাংলাদেশ সময়: ০৩০০ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৯
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।