সকাল থেকেই সব সরকারি হাসপাতালের আউটডোর বন্ধ। শুধু জরুরি বিভাগ খোলা থাকায়, সেখানে উপচে পড়া ভিড় রোগীদের।
গত ১২ জুন থেকে কলকাতার এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে হয়রানির প্রতিবাদে ধর্মঘট ডাকেন সহকর্মীরা। পরে, তাদের সঙ্গে যুক্ত হন জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকরা। ধর্মঘটের সঙ্গে চলছে গণইস্তফা কর্মসূচিও। ইতোমধ্যে ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালের প্রায় ৭৫০ জন চিকিৎসক এ প্রতীকী আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন।
এর প্রেক্ষিতে, শুক্রবার (১৪ জুন) রাজ্যের জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকদের পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক ভবন নবান্নে ডেকে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারা আন্দোলনরত শিক্ষানবিশদের সঙ্গে প্রশাসনের আলোচনার মধ্যস্থতা করবেন বলে জানা গেছে।
শনিবার (১৫ জুন) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলার প্রস্তাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, চিকিৎসকরা এ প্রস্তাবে রাজি হননি। তাদের দাবি, কলেজে এসে তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে মুখ্যমন্ত্রীর। পাশাপাশি, তার আগের বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।
জানা গেছে, বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজসহ প্রতিটি জেলা হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজগুলোতে আউটডোর পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। হাসপাতালগুলোর বাইরে ভিড় করেছেন অসংখ্য রোগী। এ পরিস্থিতি থেকে দ্রুত মুক্তি চাইছেন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। কিন্তু, কবে নাগাদ এর সমাধান হবে, সে কথা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৯
একে