এছাড়া এসি ট্রাম চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়াহাট অঞ্চলসহ আরও কয়েকটি এলাকায়। এ ধরনের একেকটি ট্রাম তৈরি করতে কমবেশি খরচ হচ্ছে ২৫ লাখ রুপি বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পরিবহন নিগম।
পরিবহন নিগমের তরফে বলা হয়েছে, বর্তমানে কলকাতায় সরকারি এসিবাস যাত্রীমহলে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছে। এসিবাসের পাশাপাশি এসি ট্রামও যাত্রীমহলে কদর বাড়িয়েছে। আর এ ধারণা থেকেই কলকাতার ট্রামরুটে নতুনভাবে এসি ট্রাম চালানো শুরু করা হবে। বর্তমানে মধ্য কলকাতার এসপ্ল্যানেড থেকে উত্তর কলকাতার শ্যামবাজার রুটে এসি ট্রাম চলাচল করছে। এসি ট্রামের জন্য প্রথম পাঁচ কিলোমিটারের জন্য ভাড়া ধার্য হয়েছে ২০ রুপি। পাঁচ কিলোমিটারের বেশি হলে ভাড়া দিতে হবে ২৫ রুপি।
নিগমের তরফে বলা হয়েছে, সব খরচ বাদ দিয়ে একটি রুটেই এসি ট্রাম চালিয়ে দিনে গড়ে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার রুপি আয় হচ্ছে। আসলে, বহু যাত্রীর কাছেই কলকাতা ট্রাম সফর নিজেদের আবেগের সঙ্গে যুক্ত। এসি ট্রাম তাদের কাছে তো বটেই, অন্যদের কাছেও আকর্ষণের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। সার্বিকভাবে যাত্রীমহলে এসি ট্রামের চাহিদা তৈরি হয়েছে। সেই চাহিদা পূরণ করতেই কলকাতার নোনাপুকুর ট্রাম ওয়ার্কশপে এক বগির এসি ট্রাম তৈরি করা হচ্ছে। সেগুলি কোরবানির ঈদের পরই নগরের রাজপথে নামানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া পরিবহন নিগমের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, এসপ্ল্যানেড হয়ে গঙ্গাবক্ষে মেট্রোরেলের কাজের জন্য উত্তর ও দক্ষিণের ট্রামলাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। মেট্রোর নির্মাণকারী সংস্থা আশ্বাস দিয়েছে, ট্রামের কেবল অর্থাৎ, ওভার হেড লাইনের জন্য আগামী মাসেই এসপ্ল্যানেডের জায়গা তারা ছেড়ে দেবে। আমরা আশা করছি আগে যে রুটে চলতো সেই রুটেই এসি ট্রাম গড়ের মাঠের মধ্য দিয়ে খিদিরপুর পর্যন্ত চালানো হবে। এছাড়া যেসব এলাকায় নিত্যদিন বহু ট্রামযাত্রীর যাতায়াত আছে ওই এলাকাতেও এসি ট্রাম দেওয়া হবে।
নিগম সূত্রের খবর, বর্তমানে রাস্তায় মেট্রোরেলসহ নানা সংস্থার কাজকর্মের জেরে রাজপথে ঐতহ্যবাহী ট্রামের সংখ্যা কমেছে। বর্তমানে দিনে কমবেশি ৩৫ থেকে ৪০টি ট্রাম চালানো হচ্ছে। কিন্তু, মোট ট্রাম রয়েছে ২৫০টিরও বেশি। তার মধ্যে ১২০টি রুটে এসি ট্রাম চলার উপযোগী।
বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৯
ভিএস/এএ