ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

কলকাতার পথে রথযাত্রা, সম্প্রীতির বার্তা মমতার 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪০ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০১৯
কলকাতার পথে রথযাত্রা, সম্প্রীতির বার্তা মমতার  রথযাত্রা ঘিরে তৈরি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ। ছবি: সংগৃহীত

কলকাতা: ভারতবর্ষের সবচেয়ে বড় রথ উৎসব হয় উড়িষ্যার পুরী জেলায়। ওড়িয়া সম্প্রদায়ের প্রধান উৎসবই হলো এ রথযাত্রা। তবে, বিশ্বের কাছে রথ উৎসবকে জনপ্রিয় করে তুলেছে ইসকন (আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ)। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ইসকনের রথযাত্রা ঘিরে ভারতবর্ষসহ কলকাতায়ও তৈরি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ।
 

পশ্চিমবঙ্গে প্রতিবারের মতো এবছরও রথযাত্রা শুরুর আগে জগন্নাথ দেবের পূজা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পূজা শেষ হওয়ার পরই টান পড়ে রথের দড়িতে।

সেখানে দেখা গেল নববিবাহিতা সংসদ সদস্য নুসরাত জাহান ও তার স্বামী নিখিল জৈনকে। পাশে সন্তান কোলে টালিউডের আরও এক তারকা সোহম। তাদের সবাইকে সঙ্গে নিয়েই সম্প্রীতির বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।  

এদিন তৃণমূল সভানেত্রী অনেকটাই হাসিখুশি মেজাজে ছিলেন। দেখা গেল, সোহমের সন্তানের সঙ্গে খুনসুটি করছেন। পাশাপাশি, নুসরাত-নিখিলের সঙ্গেও গল্পে মেতেছেন বেশ। সব ধর্মের সম্প্রীতি রক্ষার বার্তা দিয়ে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ঐক্য-মানবতার জয় হোক। যা কিছু হোক, রাজ্যে সম্প্রীতি যেন বজায় থাকে।

এদিকে, রথযাত্রা ঘিরে পুরীও ছিল উ‌‍‌‍‌ৎসবমুখর। কিছুদিন আগেই ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল গোটা উড়িষ্যা। সেসব সামাল দিয়ে আজ উৎসবে মেতেছে রাজ্যবাসী। দেশি-বিদেশি মিলিয়ে পুরীতে এখন মানুষের ঢল। নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয়েছে ১০ হাজার কর্মী।

মমতার সঙ্গে নুসরাত ও তার স্বামী নিখিল, সন্তান কোলে সোহম।  ছবি: সংগৃহীত

উড়িষ্যায় শ্রীকৃষ্ণকে জগন্নাথ রূপে পূজা করা হয়। রথে চড়ে মাসির বাড়ি যান তিন ভাই-বোন জগন্নাথ, বলরাম ও শুভদ্রা। এটাই জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার মূল উৎসব। বছরের এ সাত দিন পুরীর মন্দির থেকে জগন্নাথ, বলরাম ও শুভদ্রার মূর্তি বের করে ভক্তদের সামনে আনা হয়।

কথিত আছে, জগন্নাথ দেব মথুরা ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করায় তৈরি করা হয়েছিল রথ। কিন্তু, ভক্তরা যখন সেটি টানতে শুরু করেন, তখন কিছুতেই নড়েনি এর চাকা। শেষে রাজা এসে রথের দড়িতে টান দিলেই চলতে শুরু করে রথটি।

সাত দিন মাসির বাড়ি বিশ্রাম করার পর ফের জগন্নাথ দেব মন্দিরে ফিরে আসেন। এ সাতদিন মহাভোগ নিবেদন করা হয় জগন্নাথ, বলরাম ও শুভদ্রাকে। নানা ধরনের মিষ্টি ও ফল ছাড়াও পিঠা, ছানা, চাল, ডাল, সবজি, নিরামিষসহ ছাপান্ন ধরনের ভোগ নিবেদন করা হয় তাদের উদ্দেশে। পরে, তা ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ হিসেবে বিতরণ করা হয়। পুরীর নিয়ম অনুযায়ী কলকাতাতেও একই নিয়ম পালন করেছে ইসকন।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৯
ভিএস/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।