বিগত বছরগুলোয় মেলায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিষয়ে বিপুল সাড়া পাওয়ার পর এবছর প্রতিবেশী রাজ্যের জন্য ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ারে বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডের চমক, দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা মন্দিরসহ বাংলাদেশের সংস্কৃতি।
পশ্চিমবাংলাকে নতুন আঙ্গিকে দেশটি জানাতে এসেছে সেখানকারা জমকালো বাংলাবর্ষ বরণ।
সংস্কৃতির এই টানকে কাজে লাগিয়েই এবার কলকাতায় ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ারে (টিটিএফ) একটি সরকারি ও ১২ বেসরকারি পর্যটন কোম্পানির প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।
৩১তম ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম (টিটিএফ) মেলাটি কলকাতার নেতাজী ইনডোর স্টেডিয়াম ও ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র, দুটি চত্বরে বসে। এবার বাংলাদেশসহ ১৩টি দেশ এবং ভারতের ২৮টি রাজ্যের পর্যটন সংশ্লিষ্ট মোট ৪৩০টি স্টল মেলায় অংশ নিয়েছে।
সবচেয়ে বড় পর্যটন মেলা শুরু হয়েছে শুক্রবার (১২ জুলাই)। এ মেলার উদ্বোধন করেন কলকাতার বাংলাদেশ উপ দুতাবাস প্রধান তৌফিক হাসান, পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত অত্রি ভট্টাচার্য ও থাই কনস্যুলেট সয়া শান্তিপিতাকস।
বিদেশি দেশগুলোর মধ্যে সম্পূর্ণ ভিন্নসাজে প্যাভিলিয়নে পসরা সাজিয়ে অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশ, নেপাল, থাইল্যান্ড, ইউএই, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, ভুটান, চীন, ফিনল্যান্ড, মায়ানমার ও সিঙ্গাপুর।
এছাড়া প্রথমবার অংশগ্রহণ করেছে বাহরাইন। বাংলাদেশের প্যাভিলিয়নটি সাজানো হয়েছে দিনাজপুরের কান্তজীর মন্দিরের আদলে।
এছাড়া ভারতের সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ২৮টি রাজ্য অংশগ্রহণ করেছে। হিমাচল প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান, উড়িষ্যা, গোয়া, গুজরাট, কেরেলা প্রভৃতি রাজ্য প্যাভিলিয়ন সাজিয়ে নিয়ে বসেছে।
এছাড়া ছোট ছোট স্টল নিয়ে অংশ নিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, জম্বু ও কাশ্মীর, তামিলনাড়ু, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, ত্রিপুরাসহ অন্যান্য রাজ্যগুলো।
মেলাটি চলবে প্রতিদিন বেলা ১২টা থেকে রাত ৮ পর্যন্ত। শেষ হবে রোববার (০৮ জুলাই)। দেশি-বিদেশি প্রতিটি স্টলই আকর্ষণীয় প্যাকেজ এনেছে কলকাতার ভ্রমণ-পিপাসুর জন্যে। বাংলাদেশের পাশাপাশি প্যাকেজে মন কেড়েছে থাইল্যান্ডের প্যাভেলিয়ন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৯
ভিএস/এমএ