সোমবার (১৫ জুলাই) কলকাতার কুইনস পার্কের জাপান কন্স্যুলার রেনিডেন্সে পবিত্র সরকারের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন জাপানি কনসাল জেনারেল মাসায়ুকি তাগা।
কনসাল জেনারেল মাসায়ুকি তাগা বলেন, পবিত্র সরকার এমন এক ব্যক্তিত্ব যাকে এ সম্মান দিতে পেরে জাপান সরকার গর্বিত বোধ করছে।
১৮৭৫ সালে জাপান সম্রাট মেইজির আমলে শুরু হয়েছিল এই সম্মাননা দেওয়া। জাপানি সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, সামাজিক উন্নয়ন এবং পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই সম্মাননা দেওয়া হয়ে থাকে। জাপান সরকারের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান হিসেবে এটি বর্তমানে স্বীকৃত।
‘দ্য অর্ডার অব দ্য রাইজিং সান, গোল্ড অ্যান্ড সিলভার রেজ’ সম্মাননা পেয়ে পবিত্র সরকার বাংলানিউজকে বলেন, জাপান সরকারের আমন্ত্রণে সাতবার দেশটিতে গিয়েছি। অনেক জাপানি শিক্ষার্থীকে বাংলা ভাষা শিখিয়েছি। অনুবাদ করেছি একাধিক জাপানি নাটক। জাপানের টেগর সোসাইটি চেয়েছিল কলকাতায় একটি জাপান চর্চা কেন্দ্র চালু করতে। পরে আমি বাংলা আকাদেমির সঙ্গে টেগর সোসাইটির যোগাযোগ করিয়ে দিই। এরপরই সল্টলেকে গড়ে ওঠে রবীন্দ্র ওকাকুরা ভবন। যা ২০০৭ সালে জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আবে শিনজো এসে উদ্বোধন করেছিলেন। হয়তো এসবের জন্য জাপান সরকার এ পুরস্কারের জন্য আমাকে বিবেচনা করেছে।
পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক ড. পবিত্র সরকার দীর্ঘদিন ধরে ভারত-জাপান সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছেন। দুই দেশের সাহিত্যেরও তিনি অন্যতম যোগসূত্র। এছাড়া তিনি ইন্দো-জাপান ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৯
ভিএস/এইচএডি