জার্নিটা শুরু হয়েছিল অনেকটা জেদের বশে। শহরের খাদ্যরসিকদের বাংলাদেশি রান্না চেনাতে।
আপনার তো রেস্তোরা নেই? ‘খাওয়াতে হলে রেস্তোরা খুলতে হবে নাকি। আমি যখন কলকাতায় আসি। বিভিন্ন হোটেল বা রেস্তরার শেফেদের নিয়ে বাংলাদেশি একটা ফুড ফেস্টিভ্যাল করি। এই ধরুন এবার অ্যাস্টোর হোটেলে ১৯ থেকে ৩১ জুলাই ফেস্টিভ্যাল হবে। এরকম ছয় জায়গায় আগে করেছি। দেখলাম শেফেরাও আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং এনারাই ভবিষ্যতে বাংলাদেশি রান্না ঠিকঠাক সার্ভ করছেন কলকাতার মানুষদের। পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে যারা আসছেন তারা খেলেই বুঝতে পারবেন। ’
নয়না আফরোজ কলকাতার খাদ্যরসিক মানুষদের কাছে এখন পরিচিত নাম। কলকাতার যেকোনো রেস্তোরা তার সাথে কাজ করথে চায়। শুধু রান্না শেখানো নয় পাশাপাশি বাণিজ্যিক দিকেরও প্রসার ঘটাচ্ছেন। তার কথায় শুধু রেসিপি জানলে তো হবে না। যেদেশ যে উপাদানগুলো রান্নায় ব্যবহার করা হয় সেটা সেই দেশেরই হওয়া উচিত। নিজে সে ভাবে বাণিজ্যিক বিষয়টা নিয়ে না ভাবলেও ভাবছেন সেসব হোটেল বা রেস্তরাগুলো।
যেমনটা বলছিলেন, অ্যাস্টোর হোটেলের এক্সজিকিউটিভ শেফ অভিজিৎ দাস। ‘রান্নার স্বাদ ও ঘ্রান আরও বাড়ে সেই অঞ্চেলের উপাদানটা পেলে। এমনি কি হয় না? হয়, তবে স্বাদ অনেকটাই বাড়ে অঞ্চল ভিত্তিক উপাদানগুলো অ্যারেঞ্জ করলে। আমার ঠিক করেছি কালজিরা চাল, মাসকালাইয়ে ডাল এবং সাতকড়া লেবুসহ আরও কয়েকটি উপাদান বাংলাদেশ থেকে কালেক্ট করবো। সারাবছরই বাঙালি খাবার আমাদের হোটেলে পাওয়া যায়। এরসাথে রেগুলার কিছু বাংলাদেশি ডিশ রাখবো। ’
উৎসবের প্রধান অতিথি, বাংলাদেশ উপদুতাবাস প্রধান তৌফিক হাসান বলেন, কলকাতায় বসে বাংলাদেশী খাবার খাওয়াটা এক কথায় আলাদা অনুভুতি। তার জন্য উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ এবং এই উৎসবের যে টাইটেলটা দিয়েছে এটাও ইন্টাররেস্টেং। ‘পদ্মা পাড়ের পাকঘর’ নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে পুরোপুরি বাংলাদেশকে রিপ্রেজন্ট করছে। আর সাহিত্য সংস্কৃতির সাথে, রন্ধন শিল্পের আদান প্রদান হলে দুই দেশের হৃদ্যতা আরও অন্যমাত্রা পাবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬১০ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৯
ভিএস/এমএমএস