শুক্রবার (২৬ জুলাই) এ কথা জানান নরেন্দ্র মোদী।
তিনি বলেন, সংগ্রহশালা তৈরির মধ্যে দিয়েই রাজনৈতিক অস্পৃশ্যতা ঝেড়ে ফেলে এক নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতির সূচনা হবে।
‘সংগ্রহশালা তৈরিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রীদের জীবনের বিভিন্ন দিক ও উত্থানের সময় জানতে তাদের বন্ধু ও পরিবারের কাছ থেকে সাহায্য নেওয়া হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ইতোমধ্যে তিন সদস্যের একটি প্যানেলও তৈরি করা হয়েছে। ’
নরেন্দ্র মোদী বলেন, একটা শ্রেণি আছে যারা সাবেক প্রধানমন্ত্রীদের নিয়ে কুৎসা রটানোর চেষ্টা করেন। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সাধারণ মানুষের মন থেকে তাদের স্মৃতি মুছে দিতে চান।
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী চন্দ্র শেখরের কথা উল্লেখ করে মোদী বলেন, ‘বড় ব্যবসায়ীদের টাকায় দেশের অষ্টম প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন চন্দ্র শেখর, এই প্রধানমন্ত্রী মিটিংয়ে ঘুমোতেন, তিনি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত’- চন্দ্র শেখরের বিরুদ্ধে এসব রটিয়ে তার কাজকে ছোট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। দেশের উন্নতিতে সাবেক-বর্তমান সব প্রধানমন্ত্রীরই অবদান রয়েছে। তাদের অবদান ভুলে গিয়ে, জনমনে এমন ধারণা তৈরির চেষ্টা করা হয়।
এই রাজনৈতিক অস্পৃশ্যতা সরিয়ে, সব প্রধানমন্ত্রীর কাজ সম্পর্কে আলোকপাত করতে এই সংগ্রহশালা তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
তবে প্রধানমন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্তেও জন্ম নিয়েছে আরেক নতুন বিতর্কের। কারণ স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর সরকারি বাসভবন ছিল দিল্লির তিনমূর্তি ভবন। যেখানে পরে নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম ও লাইব্রেরি তৈরি করা হয়।
নতুন কোনো জায়গার বদলে ওই স্থানটিকেই প্রধানমন্ত্রীদের স্মৃতিতে সংগ্রহশালা তৈরিতে বেছে নেওয়াকে অভিসন্ধিমূলক বলে মনে করছে কংগ্রেস।
কংগ্রেসের অভিযোগ, দেশের সব প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটি সংগ্রহশালা তৈরি করে আসলে নেহরুর অবদানকে ছোট করার চেষ্টা করছে মোদী সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৯
ভিএস/এসএ