মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ভারত সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে তারা পথে নামে।
একইসঙ্গে এ সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে দেওয়া এক বিবৃতি দিয়ে তারা লিখেছেন, ‘জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দিয়েছিল সংবিধানের ৩৭০ ধারা।
এছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে গণতন্ত্রপ্রিয়, দেশপ্রেমী ও শান্তিপ্রিয় মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে সিপিএম’র এই ছাত্র সংগঠনটি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্যাম্পেইনের পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরের শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআই ইউনিট। তারা বলেছে, কাশ্মীরি শিক্ষার্থীরা যে কোনো সমস্যায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এসএফআই’র এ কর্মসূচিতে সায় দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও। কোনো কাশ্মীরি শিক্ষার্থী হোস্টেলে থাকতে চেয়ে আবেদন করলে তৎক্ষণাৎ তাদের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষও।
এর পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধারা বাতিল নিয়ে বিজেপি-তৃণমূল আঁতাতের অভিযোগ করেছে বামশিবির। তাদের মতে, সবসময়ই বিভিন্ন ইস্যুতে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে গলাফাটান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তবে এ ইস্যুতে তা দেখা যায়নি। এছাড়া সোমবার (৫ আগস্ট) প্রস্তাবিত ৩৭০ ধারা বাতিল করার বিলের বিরুদ্ধে ভোট না দিয়ে রাজ্যসভার কক্ষ ত্যাগ করেছিল তৃণমূলের সংসদ সদস্যরা। সেই প্রসঙ্গ তুলে বিজেপি-তৃণমূলের তলায় তলায় যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে সিপিএম।
তবে মঙ্গলবার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বলেছেন, কেন্দ্র সরকারের উচিত ছিল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিষয়টা নিয়ে বৈঠক করা। সেখানে কাশ্মীরি নেতাদেরও ডাকতে পারতো। আমরা যাওয়ার জন্য রাজি ছিলাম। আলোচনার মাধ্যমে সবাইকে সহমতে এনে তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া যেত। এটাতে পদ্ধতিগত ত্রুটি আছে। এই পদ্ধতি কখনই মানতে পারি না।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৯
ভিএস/এসএ