এনআরসি চালু নিয়ে এর আগে একাধিক বিতর্ক, হিংসা, অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল আসামে। তালিকা থেকে বাদ যাওয়া নাম নিয়েও রাজনৈতিক বিতর্কও তুঙ্গে উঠেছিল লোকসভা ভোটের আগে।
আসামে ৪০ লাখ বাঙালিকে রাখা হয়েছে এনআরসি তালিকার বাইরে। আর যাদের নাম তালিকায় থাকবে না, তাদের নিয়ে কী করবে ভারত সরকার? অথবা এই রায়ে বাংলাদেশে কোনো প্রভাব পড়বে কি-না? এ রকম নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সবার মনে।
এদিকে, তালিকায় বাদ পড়া বা নাগরিকত্ব হারানো নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে অনেকের মনে। দেশ-পরিচয়হীন হয়ে পড়লে, কী হবে, কোথায় যাবে- এমন চিন্তায় তারা এখন বিমর্ষ।
এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রমনিয়াম জয়শঙ্কর সম্প্রতি ঢাকায় বলেছিলেন, এনআরসি প্রক্রিয়াটি ভারতের একান্তই অভ্যন্তরীণ বিষয়। যেহেতু ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় অতএব প্রতিবেশী দেশে এর কোনো প্রভাব পড়বে না।
তাহলে যাদের নাম তালিকায় থাকবে না, তাদের কী হবে? ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, যাদের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়বে, তাদের এই মুহূর্তে বিদেশি বলে ঘোষণা করা হবে না। তারা নাগরিকত্ব প্রমাণ করার সুযোগ পাবেন। যে সুযোগ আগামী দেড় মাস পর্যন্ত থাকবে। যাদের নাম থাকবে না, তাদের এই মুহূর্তে বের করে দেওয়ার পরিকল্পনা আসাম বা ভারত সরকারের নেই।
পশ্চিমবঙ্গ বা অন্য সব রাজ্যে ভবিষ্যতে এনআরসি চালু হবে কি-না, তা নিয়ে যথেষ্ট দ্বন্দ্ব আছে রাজ্যগুলোতে। এখনও পর্যন্ত মোদী সরকার এনআরসি নিয়ে যে রাজনৈতিক প্রচার চালিয়েছিলেন নির্বাচনের সময়, বাস্তবে এই প্রক্রিয়া এগোচ্ছে ধীরে চলো নীতিতেই।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই এই এনআরসির বিরোধিতা করে এসেছেন। তবে ভারতের মধ্যে প্রথমবার এনআরসি চালু হয়েছে আসামে। এর আগে ওই রাজ্যে ১৯৫১ সালে এনআরসির তালিকা আপডেট হয়। এবার শনিবার চূড়ান্ত তালিকায় কী থাকে, তা নিয়ে যথেষ্ট কৌতূহল রয়েছে ভারতে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৯
ভিএস/এইচএডি/টিএ