ইতোমধ্যে এ বিষয়ে পৃথকভাবে নানা কর্মসূচি নেওয়ার কথা জানিয়েছে দলগুলো। তবে, রাজ্য-রাজনীতির প্রেক্ষাপটে একে অপরের বিরোধী হলেও এনআরসি ইস্যুতে বিজেপি শিবিরের বিরুদ্ধে তারা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে বিধানসভার ভেতরে।
এ বিষয়ে বিজেপি বলছে, কংগ্রেস ও বামদলগুলো যে তৃণমূল কংগ্রেসের লোক-দেখানো বিরোধিতা করে, তা মানুষের কাছে বারবার ধরা পড়ে যাচ্ছে। আসলে এ তিন পক্ষ একই ছাতার নিচে।
তবে, বিজেপি যতই কটাক্ষ করুক না কেন, এ রাজ্যে কোনোভাবেই এনআরসি চালু করা যাবে না, এ মর্মে বিধানসভায় প্রস্তাব এনে আলোচনার দাবি জানিয়েছে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। এ নিয়ে সম্প্রতি যৌথভাবে একটি প্রস্তাব বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরে জমাও করেছে তারা। কিন্তু, কার্য উপদেষ্টা কমিটির বিগত বৈঠকগুলোতে এ প্রসঙ্গটিতে সময় চেয়ে বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছিল শাসক শিবির। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টম্বর) কমিটির বৈঠকে এনআরসি ইস্যুতে কেন্দ্র সরকারকে চাপ দেওয়ায় বিষয়ে বিশেষ আলোচনায় রাজি হয় বিরোধী এ দুই পক্ষ।
বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের জমা দেওয়া প্রস্তাবে সামান্য পরিবর্তন করে তাতে শাসক ও বিরোধী উভয় পক্ষের শীর্ষনেতারা সই করেন। এদের মধ্যে যেমন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, নির্মল ঘোষ, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মতো শাসকপক্ষের মন্ত্রীরা রয়েছেন, তেমননই বিরোধী শিবির থেকে কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান, সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী, নেপাল মাহাত, মনোজ চক্রবর্তীদের নামও রয়েছে। প্রস্তাবটি চূড়ান্ত হয়েছে বলে বিধানসভা সূত্রে জানা গেছে।
পশ্চিমবঙ্গে শাসক ও বিরোধীদলগুলো এনআরসি ইস্যুতে একমত হলেও কেন্দ্রীয় বিজেপি এ বিষয়ে ধীরে চলো নীতি বা আপাতত স্থগিত রাখার পক্ষে বলে গত মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) জানানো হয়েছে। এ ইস্যুতে ১৯ লাখ মানুষের নাম বাদ যাওয়ায় সুপ্রিম কোর্ট কী রায় দেন, সেদিকে তাকিয়ে মোদী সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৯
ভিএস/একে