ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

২০২৩ সালের মধ্যেই ভারতে চালু হচ্ছে প্রথম বুলেট ট্রেন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯
২০২৩ সালের মধ্যেই ভারতে চালু হচ্ছে প্রথম বুলেট ট্রেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী, ছবি: সংগৃহীত

কলকাতা: ভারতের মুম্বাই-আহমেদাবাদ রুটে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই চালু হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম বুলেট ট্রেন। এই উচ্চগতির ট্রেনের যাত্রী ভাড়া মাথাপিছু তিন হাজার রুপি হতে পারে। ট্রেনটির মুম্বাই থেকে আহমেদাবাদ পৌঁছাতে সময় লাগবে তিন ঘণ্টার মতো। এর মধ্যে থামবে ১২টি স্টেশনে।

২০১৪ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাপানের মতো ভারতেও বুলেট ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা জানিয়েছিলেন। এ হিসেবেই এগোয় মোদী সরকার।

দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রীর সেই স্বপ্নের বুলেট ট্রেন বাস্তবায়িত করতে নিজেরা আরও তৎপর হয়েছে বলে জানায় কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রণালয়।

এ পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাশনাল হাইস্পিড রেল করপোরেশন জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। ইতোমধ্যে বুলেট ট্রেনের যাত্রী ভাড়ার প্রাথমিক তালিকা নির্ধারণ করেছে মন্ত্রণালয়।

রেল মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, মুম্বাই থেকে আহমেদাবাদ যেতে বুলেট ট্রেনের ৫০৮ দশমিক ১৭ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হবে। এই গোটা যাত্রাপথে মহারাষ্ট্রে পড়েছে ১৫৫ কিলোমিটার। গুজরাটে ৩৫০ কিলোমিটার এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল দাদরা ও নগর-হাভেলিতে পড়েছে মাত্র দুই কিলোমিটার পথ। এর মধ্যেই ১২টি স্টেশনে থামবে। সেগুলো হলো- মুম্বাই, থানে, ভীরার, বৈসার, ভাপী, বিল্লিমোরা, সুরাত, ভারুচ, বরোদা, আনন্দ, আহমেদাবাদ এবং সবরমতী।

৫০৮ দশমিক ১৭ কিলোমিটারের যাত্রাপথের মধ্যে ২১ কিলোমিটার হবে মাটির তলায় এবং সাত কিলোমিটার থাকবে সমুদ্রের নিচে। তবে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে জমি। পরিকল্পিত পথে অনেকেই জমি দিতে চাইছে না। যদিও এর জন্য সংসদ ভবনে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেছেন, এই প্রকল্পের জন্য জমির সমস্যা মেটাতে প্রয়োজনে বাজারদরের তুলনায় পাঁচগুণ ক্ষতিপূরণ দিয়ে জমি কেনা হবে। তবু চালু হবে বুলেট ট্রেন।

রেল সূত্র জানিয়েছে, বুলেট ট্রেন বাস্তবায়নের জন্য এক হাজার ৩৮০ হেক্টর জমির প্রয়োজন। অথচ এখন পর্যন্ত জমি পাওয়া গেছে মাত্র ৬২২ হেক্টর। গোটা প্রকল্পের খরচ এক লাখ কোটি রুপির কিছু বেশি হতে পারে। যেখানে শুধুমাত্র জমি অধিগ্রহণের জন্যই খরচ করতে হচ্ছে প্রায় ১৭ হাজার কোটি রুপি।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে জাপানি সংস্থা জাইকার (জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি) সঙ্গে ভারত যৌথভাবে কাজ করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯
ভিএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।