কিন্তু এবার ইছামতি বিসর্জনে দুই বাংলার মিলন ঘটছে না। দুই দেশের নৌকার মাঝে থাকছে প্রায় ১০০ ফুটের দূরত্ব।
তবে দশমীর ঐতিহাসিক বিসর্জন দেখতে এবারও পশ্চিমবাংলার টাকির সবকটি সরকারি-বেসরকারি হোটেল, লজ, গেস্ট হাউজ সব বুকড। ইছামতি নদীতে ঐতিহাসিক বিসর্জন ঘিরে টাকিতে কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে।
ইছামতির বিসর্জন দেখতে দেশ-বিদেশের হাজার হাজার পর্যটকরা জড়ো হয়েছেন।
এর আগে দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনে প্রতিবছর দুই বাংলা একাকার হয়ে যেত। প্রতিমা নিয়ে আসা দুই দেশের নৌকায় থাকা মানুষ একে অপরকে আলিঙ্গন করতেন। বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতেন। এই মিলন, আনন্দঘন মুহূর্ত দেখতে ইছামতির দুই পাড়ে দুই দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ জড়ো হতেন।
কিন্তু এবার প্রশাসনিক কারণে তা হচ্ছে না। দশমীতে স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যে ছ’টা পর্যন্ত বিসর্জন হবে। ফলে দেবী দুর্গার চলে যাওয়ার সঙ্গে মন ভারাক্রান্ত করার অন্যতম কারণ দুই দেশের প্রশাসনিক চাপে দুই বাংলার মিলন ঘটছে না।
টাকি পুরসভার চেয়ারম্যান সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বাংলানিউজকে বলেন, মাঝ নদীতে একটি লাল সুতোর ব্যারিকেড থাকবে। ওই ব্যারিকেড পর্যন্তই ভারতের নৌকাগুলো যাবে। বাংলাদেশের বিজিবি একই ব্যারিকেড করেছে। বাংলাদেশের নৌকাগুলো সেই অবধি আসবে।
‘দুই দেশের নৌকার মাঝে প্রায় ১০০ ফুটের দূরত্ব থাকবে। ফলে ভারতের নৌকা থেকে বাংলাদেশের নৌকায় বা বাংলাদেশের নৌকা থেকে ভারতের নৌকায় আসতে পারবেন না কেউ। দশমীতে বিকেল ৩টে থেকে ৬টা পর্যন্ত বিসর্জন হবে। ’
তিনি বলেন, নিরাপত্তা কঠোর করতে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসন এক হয়ে কাজ করছে। ইছামতির বিসর্জন ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য বিএসএফ ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। আছে ওয়াচ টাওয়ার। থাকছে সাদা পোশাকের পুলিশও।
এদিকে বিসর্জন দেখতে আসা পর্যটক ও দর্শনার্থীদের জন্য টাকি পুরসভা বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। খোলা হয়েছে মেডিক্যাল ক্যাম্প। রাস্তায় রাস্তায় বিভিন্ন জায়গায় পানি ও মিষ্টি মুখের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি রাস্তায় রয়েছে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। ফলে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনে ইছামতি নদীসহ টাকিতে থাকছে নানা আয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৯
ভিএস/এমএ