ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

করোনা নিয়ে অহেতুক ভয় পাবেন না: মমতা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪১ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২০
করোনা নিয়ে অহেতুক ভয় পাবেন না: মমতা

কলকাতা: করোনা ভাইরাস নিয়ে বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মুখে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, সব জ্বর মানেই করোনা নয়, সব হাঁচি-কাশি মানেই করোনা নয়, আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। রাজ্যে কারও শরীরে করোনার জীবাণু মেলেনি

শুক্রবার (৬ মার্চ) রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন নবান্নে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা মোকাবিলায় সরকার একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে।

এছাড়া এ ইস্যুতে হেল্পলাইন নম্বর খোলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।  

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা সন্দেহে ৩ জনকে বেলেঘাটা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু কারও শরীরে করোনা ভাইরাস মেলেনি। আতঙ্কিত হবেন না। তবে সাবধানতা অবলম্বন করুন। আমরা জেলায় অ্যাডভাইসরি এবং র‍্যাপিড রেসপন্স টিম পাঠিয়েছি। রেলস্টেশন, পোর্ট ও বিমানবন্দরে চেকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিমানবন্দরে স্ক্রিনিংয়েরও ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে বিদেশি নাগরিকদের পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে। কাউকে সন্দেহ হলেই সরকারি হাসপাতাল অর্থাৎ বেলেঘাটায় আইডিতে ভর্তি করা হচ্ছে।

'এছাড়া আরজি কর, কলকাতা মেডিক্যাল, এনআরএস, ন্যাশনাল মেডিক্যাল, সাগর দত্ত মেডিক্যাল, হাওড়া জেলা হাসপাতাল, আরামবাগ মহকুমা হাসপাতাল, কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতাল, ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালসহ বেশ কয়েকটি হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড রাখা হয়েছে। '

রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করে মমতা বলেন, এতো ভয় পাওয়ার দরকার নেই। বারবার হাত ধোওয়া দরকার। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। জ্বর হলে ১৪ দিন বিশ্রাম নিন। কারও কোনও সমস্যা হলে আমাদের হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন। ২৪ ঘণ্টার জন্য হেল্পলাইন নম্বরটি হলো- ০৩৩-২৩৪১২৬০০। এছাড়া কল সেন্টার থাকছে (১৮০০৩১৩৪৪৪২২২)। অন্যদিকে, ওষুধ ও মাস্কের কালোবাজারি রুখতে পুলিশকে নজর রাখতে বলা হয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।

এর আগে একইদিনে করোনা ভাইরাস নিয়ে কিছু সামাজিকমাধ্যম ‘অহেতুক’ আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন কলকাতার ডেপুটি মেয়র তথা মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ।  

তিনি আরও বলেন, শহর কলকাতা এখনও সেফ জোনে আছে। কলকাতায় এই ভাইরাস প্রবেশের আশঙ্কা নেই। ভারতের আবহাওয়া এ ভাইরাসের জন্য প্রতিকূল। তবে সামাজিকমাধ্যমে ফেক নিউজ মানুষের মধ্যে অহেতুক আতঙ্ক বাড়াচ্ছে বলে শহরবাসীকে সজাগ থাকতে বলেছেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২০
ভিএস/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।