ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

পশ্চিমবঙ্গে অনলাইনে চলবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৫ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০২০
পশ্চিমবঙ্গে অনলাইনে চলবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার

কলকাতা: করোনা সংকটে রাজ্যে রাজনৈতিক জমায়েত নিষিদ্ধ। সব কিছুই চলছে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে। তার মধ্যেই ২০২১ সালে, পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন। ফলে এই অবস্থায় গোটা সমীকরণই বদলে গেছে রাজ্যের রাজনীতিতে। ইতোমধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো শান দিতে শুরু করেছে রাজনৈতিক অস্ত্রে।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে নারাজ শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এক উচ্চস্তরের বৈঠক ডাকেন তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়।

ঠিক করে দেন সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব মেনে কীভাবে প্রচার চালানো হবে। আর তাতে ২০২১-এ মহাসংগ্রামের আগে ভার্চ্যুয়াল প্রচার চালানোর জন্য ব্যবহার করা হবে সামাজিক মাধ্যম। সেরকমই পরিকল্পনা দলীয় সূত্র জানা গেছে।

এই অবস্থায় তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলে প্রচার-পরিকল্পনার নীলনকশা প্রস্তুত করতে, সম্প্রতি এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেন সকল বিধায়ক, সংসদ সদস্য, জেলা সভাপতি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে। সেই বৈঠকেই মমতা এই বিকল্প পথে প্রচারের পরিকল্পনার কথা জানান।

 

দলীয় সূত্র আরও জানিয়েছে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যজুড়ে সমস্ত ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ সাধনের জন্য চলতি বছর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হবে প্রচার। তারমধ্য দিয়ে রাজ্যের সমস্ত জেলার ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা হবে। বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে, কয়েকদিনের মধ্যে এই ভার্চ্যুয়াল প্রচার চালানোর প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে তৃণমূল কর্মীদের।

তবে কেন্দ্রীয় শাসকদল বিজেপি, রাজ্যে গত লোকসভা ভোটে ৪২টি আসনের মধ্যে ১৮ আসনে জয়ী হয়ে পশ্চিমবঙ্গকে পাখির চোখ করে ফেলেছে। ইতোমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে কয়েক কোটি সদস্য সংগ্রহ করে ফেলেছে দলটি। ফলে বিজেপি ইতোমধ্যেই ভার্চ্যুয়াল প্রচার শুরু করে দিয়েছে এবং তার নেতৃত্ব দিচ্ছেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবারই (৯ জুন) অমিত শাহ দিল্লি থেকে এক ভার্চ্যুয়াল সমাবেশে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের ৬০ হাজার বুথে সরাসরি প্রচার চালাবেন দলীয় কর্মীরা।  

ফলে করোনা সংকটে ইতোমধ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় প্রায় সবদলই এই প্রচার পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে। সেইমতোই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করোনা ভাইরাস ও আম্পানকে সামনে রেখে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তার সমস্ত সংসদ সদস্য, বিধায়ক এবং জেলা প্রধানদের সঙ্গে যোগাযোগের পথ বেছে নিয়ে প্রচার চালিয়ে যাওয়ার পন্থা বের করে দিয়েছেন।

তবে এবারের নির্বাচনে ইস্যু যে করোনা ও আম্পান হতে চলেছে তা রাজনৈতিক দলগুলোর হাবেভাবে বোঝাই যাচ্ছে। রাজ্যের শাসক দলের মতে, কেন্দ্রীয় সরকার সহযোগিতা করছে না। বিরোধীদের মত, তথ্য গোপন ও টাকা তছরুপের জন্যই পশ্চিমবঙ্গের এই হাল। ফলে এই দুই মধ্যমনি এবারের রাজ্যে আসন্ন নির্বাচনের হাতিয়ার হতে চলেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০২০
ভিএস/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।